ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মুম্বাই বিমানবন্দরে ‘বোমা হামলার’ হুমকি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৯
মুম্বাই বিমানবন্দরে ‘বোমা হামলার’ হুমকি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মু্ম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (সিএসআইএ) ‘বোমা হামলার’ হুমকি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২ মার্চ) নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে এ হুমকির কথা জানায়। এরপর বিমানবন্দরটির ‘টার্মিনাল-২’ এর কার্যক্রম এবং কর্মকর্তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

 

১৪ ফেব্রুয়ারির পুলওয়ামা হামলার পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত বোমা হামলার হুমকি পেল ভারত।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, হুমকিটি অনির্দিষ্ট ছিল এবং এতে ফ্লাইটগুলোর কোনো ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি।  

কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিমানবন্দরটি বন্ধ ছিল। পাশাপাশি হুমকির পর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে যাত্রীদের কোনো ধরনের ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়নি।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ১১টা থেকে ১১টা ২০ মিনিটের মধ্যে ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকউরিটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে এ হুমকির বিষয়ে জানায়। হুমকিতে বলা হয়েছে, ১২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দরটির ‘টার্মিনাল-২’ এ হামলা চালানো হবে।

বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্ত শেষে দি বোম্ব থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট কমিটি হুমকিটিকে অনির্দিষ্ট বলে ঘোষণা করেছে। তবে ‘টার্মিনাল-২’ এর কার্যক্রম ও কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।  

সেন্ট্রলি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আমরা হুমকির খবরটি পাই। এরপরই প্রায় ৮০ জন কর্মকর্তাকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তল্লাশি শেষে জায়গাটি নিরাপদ ঘোষণা করা হলে তাদের আবার ফিরিয়ে আনা হয়।

জানুয়ারিতে মুম্বাইয়ের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিল, ফেব্রুয়ারির ৭ থেকে মার্চের ৩০ তারিখ পর্যন্ত প্রতি মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার এবং শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনো ধরনের ফ্লাইট চলাচল করবে না।

বিমানবন্দরের সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানায়, ২২ দিন ধরে দৈনিক প্রায় ৬ ঘণ্টা বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকার কারণে প্রায় ২৩০টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। মূলত রক্ষণাবেক্ষণের জন্যেই এটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

সিআইএসএফ’র সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানায়, বিমানবন্দরটি বন্ধ না থাকলে হুমকির ফলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হন।

জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে এর মোক্ষম জবাব দিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে পাকিস্তানের বালাকোট শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। এর একদিন পরই ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে পাকিস্তান। শুক্রবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ প্রায় ৫৮ ঘণ্টা পর
ভারতের পাইলটকে ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তান।

এতে দুই দেশের মধ্যে চলমান ‘উত্তেজনাকর’ পরিস্থিতি কিছুটা ‘শিথিল’ হয়েছে বলে মনে করা হলেও এর পরেই হুমকিটি এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৯
এসএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।