ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলাতে ৩০ লাখ রুপি ঢেলেছিলেন ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলাতে ৩০ লাখ রুপি ঢেলেছিলেন ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ছবি: সংগৃহীত

একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ব্রিটিশ সংসদীয় দলের সর্বদলীয় সংসদীয় কাশ্মীর গ্রুপের সদস্যদের জন্য ৩০ লাখ রুপি ব্যয় করেছে পাকিস্তান সরকার। যাতে করে তারা পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর পরিদর্শন করে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বর্ণনা করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ জানিয়েছে, এই পরিদর্শন দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডেবি আব্রাহামস। যিনি এর আগে নিজের ই-ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে ভারতে ‘প্রত্যাখ্যান’ হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি নিজের পিআইও সংসদীয় সহযোগী হারপ্রীট উপলকে নিয়ে দিল্লি এসেছিলেন ভ্রমণে। কিন্তু পরে তাকে ভারত ছেড়ে দুবাই গিয়ে থাকতে হয় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে। তাকে দিল্লি বিমানবন্দরে জানানো হয়েছিল তার ই-ভিসা বৈধ নয় এবং এক্ষেত্রে দেশে প্রবেশ করা যাবে না।

প্রতিবেদন মতে, দুবাই থেকে পরের দিন ডেবি আব্রাহামস পাকিস্তান গিয়েছিলেন। এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ভারতের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। সেখানে তিনি আর্থিক সুবিধাও পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

এরমধ্যে জি নিউজ ইমরান খান সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ সর্বদলীয় সংসদীয় কাশ্মীর গ্রুপের (এপিপিজিকে) সদস্যদের দেওয়া অর্থ গ্রহণের ‘রশিদ’ মূল্যায়ন করেছে। তারা দেখেছে, এপিপিজিকে দলকে ইমরান খান সরকার প্রায় ২৯ লাখ ৭০ হাজার পাকিস্তানি রুপি আর্থিক সুবিধা দিয়েছে আজাদ কশ্মীর পরিদর্শনে। এরপর দলটি গত ১৮ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিওকে পরিদর্শন করেছে।

জি নিউজ বলছে, ইমরান খানের এই অর্থ সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, আলোচেনার মাধ্যমে কাশ্মীরি জনগণের স্ব-সিদ্ধান্তের অধিকারকে সমর্থন করা, এক্ষেত্রে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে সমর্থন চাওয়া, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা এবং জনগণের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়া। এছাড়া উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বর্ণনা করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।