ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সীমান্তে সক্রিয় মাদক চোরাচালান চক্র, উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
সীমান্তে সক্রিয় মাদক চোরাচালান চক্র, উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের হেরোইন/ ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে হরহামেশা। এরমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণার পর থেকে বেড়েছে এর মাত্রা।

এ অঞ্চলকে ভালোভাবে কব্জায় নিতে ভারত সরকারের চেষ্টার অন্ত নেই। কিন্তু মাদক-সন্ত্রাস নানাভাবে বাগড়া দিচ্ছে। যার জন্য দায়ী করা হচ্ছে পাকিস্তানকে।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, পাকিস্তানের মাদক চোরাচালান চক্র ভারতের জম্মু এবং কাশ্মীরে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। সন্ত্রবাদে অর্থায়নের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরে পাচার করা হচ্ছে হেরোইন। ভারতের জন্য বড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে চক্রটির এ সক্রিয়তা। খবর দ্য উইকের।

সম্প্রতি ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি শ্রীনগরের হান্দওয়ারা থেকে আফাক আহমেদ ওয়ানি নামের একজন ব্যাংক ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে।  

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি ২১ কেজি হেরোইন ও নগদ টাকাসহ মাদক চোরাচালান চক্রের যেসব সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে আফাকের সঙ্গে তাদের সংযোগ থাকতে পারে।

এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতি সত্যি ভয়ংকর হয়ে উঠছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দিন দিন বড়েই চলেছে মাদক-সন্ত্রাস। শেষ কয়েকবছর ধরে মাদক চোরাচালানের রুট তারা বিস্তৃত করে ফেলেছে সড়ক থেকে সাগর পর্যন্ত। ’

শুধুমাত্র ভারতের হাতেই এমন তথ্য আছে তা নয়। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপেও মাদক চোরাচালানের অভিযোগে পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। মার্চে ৪০০ কেজি হেরোইনসহ পাকিস্তানের ৮ নাগরিককে গ্রেফতার করে শ্রীলঙ্কান নেভি। শ্রীলঙ্কান নেভি এবং মালদ্বীপের ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স ২০১৯ সালের মার্চ থেকে বহু পাকিস্তানি নাগরিককে মাদক চোরাচালানের অভিযোগ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া গুজরাটে কয়েক দফায় পাকিস্তানের বেশ কিছু নাগরিককে মাদক চোরাচালানে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ভারতের কোস্ট গার্ডও।

গোয়ান্দা সংস্থাগুলো বলছে, আফগানিস্তানের আফিম ফয়সালাবাদ বা লাহোর থেকে প্রক্রিয়াজাতের পর করচি বা গদর বন্দর হয়ে ভারতে পাচার করা হয়। মাদক চোরাচালানের অর্থ আর্থিক সহায়তা হিসেবে চলে যায় লস্কর-ই-তৈয়্যবা বা এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর পকেটে।

সম্প্রতি হান্দওয়ারায় হেরোইন জব্দের ঘটনা তদন্ত করে মূল অভিযুক্ত যে লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) দিয়ে মাদকের বড় চালানা আনার পর এসব বিক্রির অর্থ উপত্যকায় এলইটির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার কাজে অর্থায়ন করে এর প্রমাণ মিলেছে।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এ মাদক-সন্ত্রাস ভারতের জন্য ধীরে ধীরে মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠছে। তাই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আন্তঃসীমান্ত মাদক-সন্ত্রাসের এ বিষবৃক্ষের সমূলে উৎপাটন জরুরি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।