ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আফ্রিকায় বাড়তে থাকা জঙ্গিবাদের মধ্যেই কূটনৈতিক মিশনে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
আফ্রিকায় বাড়তে থাকা জঙ্গিবাদের মধ্যেই কূটনৈতিক মিশনে পাকিস্তান ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উপকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান এখন আফ্রিকা মহাদেশে ক্রমবর্ধমান উগ্র ইসলামী জঙ্গিবাদের মধ্যে আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও মিশন শুরুর কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে।

ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে আফ্রিকা মহাদেশে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও মিশনের কার্যক্রমের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

আফ্রিকার অস্থিতিশীল হলে বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়বে এবং ভারতকেও আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।

আফ্রিকান দেশগুলোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে আসছে ভারত। ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া এবং ঘানাসহ বেশ কয়েকটি দেশে মিলিটারি একাডেমি স্থাপন বা পরিচালনা করছে ভারত।

মহাদেশটিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাড়তে থাকলে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে ভারতের ভূমিকাও বাড়বে।

উগ্র ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলোর বেশিরভাগেরই উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। এমনকি ভারত থেকেও লোক নিয়োগের চিন্তা করতে পারে এসব সংগঠন।

১৯৯০ সালের দিকে তালেবানরা যেভাবে আফগানিস্তান শাসন করেছে, এসব দেশেও একই ঘটনা ঘটতে পারে।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, আফ্রিকায় জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যেও লড়াই করছে।

আল-কায়েদা এবং অন্য জঙ্গি সংগঠন থেকে বিচ্যুত জঙ্গিরা অনেক ক্ষেত্রে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিচ্ছে এবং আফ্রিকাজুড়ে তাদের আধিপত্য বিস্তার করছে।

সোমালিয়া, মিশরসহ আফ্রিকার অনেক দেশেই আল-কায়েদা এবং আইএসের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। তাদের সংঘর্ষের মূল কারণ সংগঠন দু’টির নেতৃত্বের পার্থক্য।

আল-কায়েদা পাশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়। অন্যদিকে আইএস আশপাশের অঞ্চলে লড়াই করে সুন্নি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

আফ্রিকার যেসব দেশে মুসলমান অধ্যুষিত নয়, সেসব দেশেও ইসলামী জঙ্গিদের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে।

কঙ্গো, কেনিয়া, উগান্ডায় মোট জনসংখ্যার যথাক্রমে ১০, ১১ এবং ১৪ শতাংশ মুসলমান। অন্যদিকে, চাদ ও নাইজেরিয়ার মোট জনসংখ্যার ৫৮ এবং ৫০ শতাংশ মুসলমান। সম্প্রতি এ দেশগুলোতে উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে।

অন্যদিকে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চল ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোতে উগ্র সন্ত্রাসবাদের অপর নাম ‘বোকো হারাম’। আল-কায়েদা এবং আইএস থেকে তাদের মতাদর্শে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও একই উপায়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে রেখেছে মৌলবাদী এ জঙ্গিগোষ্ঠী।

তবে আফ্রিকার দেশগুলো উগ্র জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। বুরকিনা ফাসো, চাদ, মালি, মৌরিতানিয়া এবং নাইজার মিলে জি৫ সাহেল গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছে ওই অঞ্চলে ইসলামী মৌলবাদ প্রতিহত করার জন্য। ২০১৭ সালে তারা নিজস্ব বাহিনীও গঠন করেছে।

তাছাড়া, একাধিক আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী এবং জঙ্গিবাদ বিরোধী বাহিনী আফ্রিকা মহাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।