ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক কৃষকদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
পাকিস্তানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক কৃষকদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

পাকিস্তানের কৃষকরা উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও বিভিন্ন ইস্যুতে ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন।

দ্য ডিপ্লোম্যাটের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান কিষাণ ইত্তেহাদ (পাকিস্তান ফারমার্স ইউনিটি) এর কৃষকনেতারা একটি বৈঠক করেন।

সেখানে তারা মার্চে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা নেন।

পাকিস্তানি কৃষকরা ন্যূনতম সহায়তা মূল্য (এমএসপি) প্রতি মণ গম দুই হাজার পাকিস্তানি রুপি ও প্রতি মণ আখ তিনশ’ রুপিতে নির্ধারণ এবং কৃষি নলকূপের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পাঁচ রুপি করাসহ বেশ কিছু দাবিতে মিছিল করতে যাচ্ছেন।

গত এক বছর কঠিন সময় পার করেছেন পাকিস্তানি কৃষকরা। গম এবং আখের নজিরবিহীন সংকট দেখা দেওয়ায় কৃষকের দুর্দশার দিকে নজর না দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরীক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার বিরোধী দলীয় জোট পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)-এর সমালোচনার শিকার হয়েছে।

দ্য ডিপ্লোম্যাটকে পাকিস্তান কিষাণ ইত্তেহাদের সভাপতি জুলফিকার আওয়ান বলেছেন, ‘বীজ নিয়ন্ত্রণ মূল্য সাড়ে সাত হাজার রুপি থেকে বেড়ে ১৪ হাজার রুপি হয়েছে। গমের ন্যূনতম সহায়তা মূল্য এক হাজার চারশ’ রুপি ছিল, যা আমরা কখনও পাইনি। সারের দাম ছিল আড়াই হাজার রুপি, যা এখন সাড়ে চার হাজার রুপি। ১ক হাজার তিনশ’ টাকার ইউরিয়া এখন এক হাজার আটশ’ রুপি। ইনপুট-আউটপুটের পার্থক্য এত বেশি যে অন্য দেশের উৎপাদিত পণ্যের সঙ্গে পাকিস্তানি কৃষকদের পণ্যের কোনো প্রতিযোগিতা হতে পারে না। ’

পাকিস্তান সরকারের কৃষিনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ২ নভেম্বর লাহোরে ক্যাম্প করেন কৃষকরা। পরে গত ৫ নভেম্বর বিক্ষোভে পুলিশের দমনপীড়নে একজন কৃষক নিহত হন।

আওয়ান বলেন, ‘বিক্ষোভ করতে গেলেই, আমাদের হত্যা করা হয়। নভেম্বরে আমাদের একজন কৃষক শহীদ হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এ কারণে তড়িঘড়ি করে লাহোরের বিক্ষোভ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি আমরা। ’

গত ২৯ মাসে পাকিস্তানে খাদ্যপণ্যের দাম গড়ে ৩১ শতাংশ বেড়েছে। কৃষি উৎপাদন প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম হওয়ায়, দেশটিকে খাবার তেল, গম, চিনি, চা এবং ডালসহ অনেক প্রধান খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে। এতে পাকিস্তানের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

সূত্র: এএনআই

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।