ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজা-ফেরত মানবাধিকারকর্মীদের তুরস্কে বিপুল সংবর্ধনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১০

ইস্তাম্বুল: আটক ত্রাণবাহী নৌযানবহরের ফিলিস্তিনপন্থী মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে ৪৫০ জন বৃহস্পতিবার সকালে ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন। তিনটি বিমানে করে ইস্তাম্বুলে গিয়ে পৌঁছলে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ট অ্যারিঙ্ক তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।


খবর বিবিসির ।

ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙতে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ওই মানবাধিকারকর্মীরা গাজার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সোমবার দেশটির জলসীমার কাছাকাছি পৌঁছলে ইসরায়েলি নৌবাহিনী  হামলা চালিয়ে ওই মানবাধিকারকর্মীদের আটক করে।

হামলায় মানাবাধিকার কর্মীসহ ৯ জন নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে অন্তত চার জন তুরস্কের নাগরিক বলে আঙ্কারা দাবি করেছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, নৌযানবহরে হামাসের সন্ত্রাসীরা ছিল। তাই তাদের  হামলার কোনো বিকল্প ছিলো না।

তবে মানবাধিকারকর্মীরা এ নৃশংসতার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে অভিযুক্ত করেন। একইসঙ্গে জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার পরিষদ এ হামলার স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের পক্ষে ভোট দেয়।

নৌযানবহরে অবস্থানকারী ৭০০ যাত্রীর বেশিরভাগই  তুরস্কের নাগরিক। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, কানাডা, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ডের নাগরিক, সুইডিশ লেখক হেনিং মাংকেল, দুই জন অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক  এবং জার্মানির তিন জন পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন। ওই বহরে  ১০ হাজার টন ত্রাণসামগ্রী ছিল।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের অবরোধকে ‘হিতে বিপরীত’  বলে উল্লেখ করে দ্রুত এ অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। দেড় বছর আগে এখানে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যুদ্ধ হয়।

ইসরায়েল হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করে।

তবে সাম্প্রতিক এ হামলার ঘটনায় গাজা উপত্যকা থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১০
এনজে/কেএল /জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।