ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতের মধ্যপ্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১০
ভারতের মধ্যপ্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২

ভোপাল: ভারতের মধ্যপ্রদেশে সোমবার সকালে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে ট্রেন মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়েস ২২ জনে পৌঁছেছে। রেল ও পুলিশ কর্তৃপ বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।



দেশটির সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায় বদরওয়াস স্টেশনে গোয়ালিয়র আন্তঃনগর এক্সপ্রেসকে একটি মালবাহি ট্রেন ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় রেলের ব্যবস্থাপক ঘনশ্যাম সিং এএফপিকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২০টি মৃতদেহ ও ৫০ জনকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। রেলের আরেকটি বগিতে দুইজনের মৃতদেহ দেখা গেছে। ’

ভারতের রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সংঘর্ষের ঘটনাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি তিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে তিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ভারতের সরকার জানিয়েছে, কিভাবে সংঘর্ষ হলো এ নিয়ে একটি তদন্ত করা হবে। আগামী দুই সপ্তাহর মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করার কথা বলা হয়েছে।

গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, বদরওয়াস স্টেশনের ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে, যা আইনের কঠোর লঙ্ঘন। এ নিয়েও তদন্ত করা হবে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজকুমার পাঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভি জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় এ দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে উদ্ধারকারী একটি দল পাঠানো হয়।

প্রবল বৃষ্টির কারণে রাস্তা খারাপ হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে আহতদের পাঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

দুটি ট্রেন একই লাইনে ঢুকে পড়ার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে রেলের সংকেত ব্যবস্থায় অবহেলাকে দায়ী করা হচ্ছে।

এদিকে পিটিআই জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী বিনা ও গুনা শহর থেকে এরই মধ্যে উদ্ধারকারি ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রেল কর্তৃপক্ষের সিনিয়র কর্মকর্তারাও সেখানে ছুটে গেছেন।

ভারতে রাষ্ট্রচালিত রেলওয়ে ব্যবস্থা দূরপাল্লার ভ্রমণে এখনো প্রধান মাধ্যম। দেশটিতে প্রতিদিন এক কোটি ৮৫ লাখ মানুষ রেলে যাতায়াত করেন।

চলতি বছর গত মে মাসে মুম্বাইগামী একটি উচ্চ গতিস¤পন্ন যাত্রীবাহী ট্রেনের দুর্ঘটনায় ১৫০ নিহত হন। ট্রেনটি কোলকাতা যাত্রা শুরু করেছিলো।

আবার, গত জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গে থেমে থাকা ট্রেনকে গতিশীল আরেকটি ট্রেন ধাক্কা দিলে ৬০ জন নিহত হন।

এছাড়া, ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার ঘটে ১৯৮১ সালে। বিহার রাজ্যের ওই দুর্ঘটনায় আনুমানিক ৮০০ জন নিহত হয়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ০৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।