অ্যাঙ্গেলা মর্কেল জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আগ্রাসনের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা তার ছিল না।
জার্মানির সংবাদ সাময়িকী স্পিগেল নিউজকে এ সাবেক চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, গত বছরের গ্রীষ্মে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে ইউরোপীয় আলোচনার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
২০২১ সালের আগস্টে মস্কোয় চূড়ান্ত সফর করেছিলেন মর্কেল।
ওই সময় পুতিনকে উদ্দেশ্য করে জার্মান নিউজ ম্যাগাজিনকে মর্কেল বলেছিলেন, অনুভূতিটি খুব স্পষ্ট ছিল, ক্ষমতার রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে আপনি শেষ হয়ে গেছেন। আপনি শুধু ক্ষমতাকেই বিবেচনায় নেন।
তিনি বলেন, এটা তাৎপর্যপূর্ণ যে, চূড়ান্ত বৈঠকের জন্য মি. পুতিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে তার সাথে নিয়ে আসেন। তার আগে তারা নিজেদের মধ্যে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
ইউক্রেনের সীমান্তে কয়েক সপ্তাহে ব্যাপক সেনা ও সামরিক সামরিক সরঞ্জাম জড়ো করেছিলেন পুতিন।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই যুক্তি দিয়ে থাকেন, মর্কেল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য নেতাদের ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পন্থা অবলম্বন করা উচিত ছিল।
স্পিগেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মর্কেল বলেছিলেন, মিনস্ক শান্তি আলোচনায় তার অবস্থানের ফলে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আরও ভালোভাবে কিয়েভকে রক্ষার প্রস্তুতি নিতে পেরেছিল ইউক্রেন।
চ্যান্সেলর হিসাবে চার মেয়াদের পরে মিসেস মর্কেল ডিসেম্বরে অফিস ছেড়েছিলেন। এ নিয়ে কোনো অনুশোচনা করেননি তিনি।
কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন যে, তার সরকার কেবল ইউক্রেন সংকটই নয়, মোল্দোভা, জর্জিয়া, সিরিয়া এবং লিবিয়ার সংঘাতের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি করতে ব্যর্থ হচ্ছে, যার সবই রাশিয়া জড়িত।
তিনি এবং মি. পুতিন উভয়েরই কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানিতে জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি সেখানে বড় হয়েছেন এবং তিনি সেখানে সোভিয়েত কেজিবি অফিসার হিসাবে এবং গোপন গোয়েন্দার কাজ করছেন।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ২৫ নভেম্বর, ২০২২
এসএএইচ