ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

জনপ্রিয়তা বেড়েছে আইসিসিবির ইফতার বাজারের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
জনপ্রিয়তা বেড়েছে আইসিসিবির ইফতার বাজারের

ঢাকা: পবিত্র রমজান মাসে রাজধানীজুড়ে জমে উঠেছে ইফতার বাজার। ভোজনরসিকদের অন্যতম আকর্ষণ পুরান ঢাকার চকবাজারের ইফাতারসামগ্রী।

তবে, যানজটের ঝামেলা এড়িয়ে চলতে অনেকেই এখন বিকল্প পথ খুঁজছেন। আর সেই বিকল্প হিসেবে ভোজনরসিকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পেয়েছে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত পুরান ঢাকার ইফতার বাজার।

এই ইফতার বাজারে রয়েছে পুরান ঢাকার বিখ্যাত সব খাবার। খাসির রেজালা, পোলাও, বিরিয়ানি, চিকেন সাসলিক, ভেজিটেবল সাসলিক, তান্দুরি চিকেন, হান্ডি চিকেন, জালি কাবাব, রেশমি কাবাব, রসমালাই, ফিরনি, সেমাই, জিলাপি, লুচি, পরোটাসহ সবই মিলছে এখানে।

ঐতিহ্যবাহী এসব বাহারি ইফতারের টানে প্রতিদিনই ভোজনবিলাসীদের ভিড় বাড়ছে আইসিসিবিতে। খিলক্ষেত, কুড়িল, বসুন্ধরা আবাসিক, নিকুঞ্জ, বারিধারার মতো আশপাশের এলাকাগুলোর লোকজন বেশি আসতেন আইসিসিবি ইফতার বাজারে। তবে এখন যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, মিরপুর, উত্তরা থেকেও ছুটে আসছেন ভোজনরসিকরা। ধুলাবালিমুক্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ঘুরে ঘুরে ইফতার কিনে ফিরছেন বাসায়। অনেকে পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধবসহ এসে আইসিসিবির ডাইনিংয়ে বসেই ইফতার করে নিচ্ছেন।



শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে ইফতারের আগ মুহূর্তে আইসিসিবির পুষ্পাঞ্জলি হলে গিয়ে দেখা যায়, ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছে আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট, হাবিবি ফল বাজার ফ্রেশ জুস, মাস্টার শেফ সুব্রত আলী ক্যাটারিং সার্ভিস, জসিম উদ্দীন ক্যাটারিং, রসুই ঘর, নাজিলাস কিচেন অ্যান্ড ক্যাটারিং, প্রিমিয়ার ক্যাটারিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। স্টলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

আইসিসিবির ইফতার বাজারে পরিবার নিয়ে ইফতার পার্টি করতে এসেছেন উত্তরার বাসিন্দা নাফরিন মুন। ছোট ভাই ঢাকার বাইরে চাকরি করেন, ছুটিতে বোনের বাসায় এসেছেন বেড়াতে। আর সেই উপলক্ষে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন আইসিসিবিতে ইফতার পার্টি করতে।

নাফরিন মুন বাংলানিউজকে বলেন, চকবাজারে যেতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই এখানে এসেছি। এখানে পরিবেশও ভালো এবং খাবারও দেখে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ভাইয়ের জন্য আজ এখানে ইফতার করতে এসেছি। আগে ইফতার পার্টি করতে গেলে চকবাজার থেকে খাবার কিনে, খাওয়ার জন্য টিএসসি বা অন্য কোথাও যেতে হতো। আর আইসিসিবিতে যেখান থেকে কিনব সেখানেই খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। এখানকার ব্যবস্থাপনা খুব সুন্দর মনে হয়েছে।

আরেক ক্রেতা মিরপুর ডিওএইচএসের বাসিন্দা আসিফ খান বলেন, চকবাজারের খাবারের স্বাদ আর আগের মতো নেই। সেখানকার খাবারে ভেজাল থাকে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তবে এখানকার পরিবেশ এবং খাবার স্বাস্থ্যসম্মত রাখার ব্যবস্থাপনাগুলো খুব হাইজেনিক। এখানে পুরান ঢাকার সব খাবার একসাথে পাওয়া যায়। তাই পছন্দের খাবার খেতে আর চকবাজার যেতে হয় না!

আইসিসিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন ঢাকার বাসিন্দাদের পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারির স্বাদ দিতে প্রতি বছর এই আয়োজন করা হচ্ছে। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের নিশ্চয়তা দিতে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। মান যাচাই ছাড়া এখানে কোনো খাবার বিক্রি করতে দেওয়া হয় না। ৩০০ ফুট সড়কের পাশে হওয়ায় যানজট এড়িয়ে সহজেই ক্রেতারা এসে ইফতার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং সুবিধা থাকায় অনেকে গাড়ি রেখে ইফতার করছেন এখানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।