ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

পাগলা মসজিদে রেকর্ড ভেঙে এবার মিলল ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
পাগলা মসজিদে রেকর্ড ভেঙে এবার মিলল ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) চার মাস ১০ দিন পর খোলা হয়েছে। এবার টাকা গণনা করে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়।

এ ছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।  

শনিবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাত ২টার পর গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়।  

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে পাগলা মসজিদের এসব দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়।  

এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ এবং রাত ২টার দিকে টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন-কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও পাগলা মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ আরও অনেকে।  

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মহুয়া মমতাজ টাকা গণনার কাজ শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন।  

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মসজিদ কমিটির কমিটির ৩৪ জন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়াও ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মাদরাসার ১১২ জন ছাত্রসহ অতিরিক্ত আরও অনেকে, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয় এবং ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এবার রমজানের কারণে চার মাস ১০ দিন পর মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে এবার রেকর্ড পরিমাণ ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও দানকৃত গবাদি পশু ও অন্যান্য সামগ্রী নিলামে বিক্রি করে টাকাগুলো মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়।  

এর আগে, সর্বশেষ গত বছরের (২০২৩) ৯ ডিসেম্বর মসজিদের দান বাক্স (সিন্দুক) খুলে গণনা করে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।  

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।  

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।