যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ঘুমায়, তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুমিনের করণীয় হলো—
* ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম করণীয় হলো, হাত দিয়ে চেহারা থেকে ঘুমের প্রভাব দূর করা।
* ঘুম থেকে ওঠার দোয়া পড়া। দোয়াটি হলো,
الْحَمْدُ للَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)
* আল্লাহর কাছে দোয়া করা : উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাতের ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই দোয়া পাঠ করবে,
،لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
سبحان الله، والحمد لله، ولا إله إلا الله، والله أكبر، ولا حول ولا قوة إلا بالله
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির, আল-হামদু লিল্লাহ, ওয়া সুবহানাল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। ’ অথবা সে বলে, ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি’ (হে আল্লাহ, আপনি আমাকে মাফ করে দিন) কিংবা সে যেকোনো দোয়া করে, তাহলে তার দোয়া কবুল করা হবে। আর যদি সে অজু করে এবং সালাত আদায় করে, তার সালাত কবুল করা হবে। (বুখারি, হাদিস : ১১৫৪)
* আকাশের দিকে তাকিয়ে সুরা আলে-ইমরানের শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৩)
* মিসওয়াক করবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২৪৫)মিসওয়াক করতে না পারলে ব্রাশ করে নেবে।
* অজু করে নেবে। গোসল ফরজ হলে গোসল করে নেবে।
* সম্ভব হলে শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করবে। তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলে কুপ্রবৃত্তি দমন ও শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই দলনে রাত্রিকালীন উত্থান প্রবলতর এবং বাগ-স্ফুরণে সঠিক। ’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত: ৬)
* জামাতের সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করবে। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল। ’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৫৬) মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
এএটি