বয়সের কারণে চুল পেকে গেলে কালো রঙ ব্যবহার করে বয়স গোপন করা নাজায়েজ। হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
তবে কারো যদি অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে বয়স হওয়ার আগেই চুল পেকে যায় তাহলে তার জন্য কালো রঙ ব্যবহার করা জায়েজ। চুল পাকার বয়স হওয়ার আগে চুল পেকে গেলে তা তুলে ফেলা জায়েজ, তবে অনুত্তম।
বার্ধ্যকের কারণে পেকে যাওয়া চুল বেছে বেছে তুলে ফেলা মাকরুহ। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাকা চুল তুলে ফেলতে নিষেধ করে বলেছেন,
لاَ تَنْتِفُوا الشَّيْبَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَشِيبُ شَيْبَةً فِي الإِسْلاَمِ إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِهَا حَسَنَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئ
তোমরা সাদা চুল উপড়াবে না। যে মুসলমানের চুল ইসলামের ওপর সাদা হয়, ওই সাদা চুলের বিনিময়ে একটি নেকি লেখা হবে এবং একটি গুনাহ্ মাফ হয়ে যাবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৪১৫৪)
আমর ইবনে শোয়াইব (রহ.) তার বাবা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণনা করেছেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পাকা চুল উপড়ে ফেলতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকা চুল মুসলমানের জন্য নুর। (সুনানে তিরমিজি: ২৮২১)
চুলে অন্যান্য রঙ করা নিষিদ্ধ নয় যদি তা কাফেরদের অনুসরণের জন্য করা না হয় এবং মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে তাকে অদ্ভুত কোনো রূপ না দেয়। ইসলামে কাফেরদের অনুকরণ করে সাজসজ্জা গ্রহণ করা যেমন নিষিদ্ধ, স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট সঙ সাজাও নিষিদ্ধ।
চুলে ব্যবহৃত রঙ এমন হতে হবে যা চুলের ওপর পৃথক কোনো প্রলেপ তৈরি করে না, বরং চুলের সঙ্গে মিশে যায়। কারণ রঙ যদি চুলের ওপর প্রলেপ তৈরি করে তাহলে, চুলে পানি না পৌঁছার কারণে তার অজু ও গোসল হবে না। অজুর সময় মাথা মাসাহ করা ফরজ, গোসলের সময়ও পুরো শরীরসহ চুল ধৌত করা ফরজ।
মেহেদির মতো যেসব রঙ চুলের ওপর পানির জন্য প্রতিবন্ধক আলাদা প্রলেপ তৈরি করে না, ওইসব রঙ চুলে লাগানো অবস্থায় গোসল ও অজু শুদ্ধ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৫
জেএইচ