ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ইজতেমার সাতকাহন

মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫
ইজতেমার সাতকাহন

দুনিয়া ও আখেরাতের সামগ্রিক শান্তি ও কল্যাণ নিহিত আল্লাহতায়ালার নির্দেশিত ও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রদর্শিত জীবনব্যবস্থায়। দুনিয়ার মানুষ সেই জীবনব্যবস্থা কীভাবে লাভ করে তা পালন করতে পারে এবং কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানুষ জাহান্নাম থেকে বেঁচে পরকালীন সফলতা অর্জন করতে পারে- এ নিয়ে দ্বীনের প্রচার চলছে বিশ্বময়।

তাবলিগ দ্বীন প্রচারের এমনই একটি ধারা। সেই তাবলিগের কাজকে আরও ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রসারের চিন্তাকে সামনে রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা। ইজতেমা শব্দের অর্থ হলো সমবেত হওয়া। মূলতঃ দ্বীনের কথা ও আলোচনা শোনার জন্য একত্রিত হওয়াকে ইজতেমাকে বলে। এরই ধারবাহিকতায় কাল থেকে টঙ্গিতে শুরু হচ্ছে ৫০তম বিশ্ব ইজতেমার শেষ পর্ব। দুই পর্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমাকে সফল করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। বিশ্ব ইজতেমার প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে দেশের ১২টি জেলায় আঞ্চলিক ১২টি ইজতেমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাধারণত ইজতেমা যে অঞ্চলে হয়, সেই এলাকার নামানুসারে ওই ইজতেমাটি পরিচিত পায়।

খুলনা ইজতেমা
খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় তিন দিনব্যাপী ‘খুলনা জেলা ইজতেমা’ গত ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। উপজেলার ভৈরব নদীর পূর্বপাশে দিঘলিয়া এম এ মজিদ কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ঈদগাহ সংলগ্ন নদীর চরে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমায় প্রায় লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমবেত হন। ২২ নভেম্বর শনিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমাটি শেষ হয়। এ ইজতেমায় বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের তাবলিগ জামাতের সাথীরা অংশ নেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের মাওলানা জোবায়ের।

কুষ্টিয়া ইজতেমা
গত ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কুষ্টিয়া শহরের অদূরে চাদাগাড়া মাঠে বাদ ফজর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাবলিগ জামাতের আঞ্চলিক ইজতেমা। এ ইজতেমায় কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লি শরিক হন। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় কুষ্টিয়া জেলা ইজতেমা। ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা ওমর ফারুক। কুষ্টিয়ায় প্রথম ২০ বছর আগে ১৯৯৩ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে এমন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে ধারাবাহিকতায় এখন প্রতিবছর এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

কক্সবাজার ইজতেমা
পর্যটন নগরী বলে খ্যাত কক্সবাজারে তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু হয় ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠে ২০০৪ সালের পর দ্বিতীয় বারের মতো এবার আরেকটু বড় পরিসরে ইজতেমাটি অনুষ্ঠিত হলো। এই ইজতেমায় কক্সবাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিন লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নেন। কাকরাইলের অন্যতম শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন এ ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে দুপুর ১২.২২ মিনিটে মোনাজাত শুরু করে ১২.৩০ মিনিটে শেষ হয়।

ধুনট ইজতেমা, বগুড়া
বগুড়ার ধুনটে তিনদিন ব্যাপী দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইজতেমা গত ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। উপজেলার নিভৃত পল্লী সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশাল ময়দানে ৩৭তম ইজতেমা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই ইজতেমায় প্রতিবছর দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলাসহ বিশ্বের প্রায় ১০/১৫টি দেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নিয়ে থাকেন। বগুড়া থেকে ধুনটের সরুগ্রাম ইজতেমা প্রাঙ্গণের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার এবং শেরপুর থেকে দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। মুসল্লিরা বগুড়া ও শেরপুর থেকে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, ভটভটি ও সিএনজিযোগে ইজতেমায় অংশ নেন। ২০ ডিসেম্বর শরিবার মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও জাতির শান্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ ইজতেমার সমাপ্তি ঘটে।

বান্দরবান ইজতেমা
তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে বান্দরবানের আঞ্চলিক জেলা ইজতেমা ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে ২২ নভেম্বর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। বান্দরবানের ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে অনুষ্ঠিত ইজতেমায় বান্দরবান, চট্টগ্রাম, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চকোরিয়াসহ পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে আলেম-ওলামা ও মুসল্লিরা অংশ নেন। ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত করেন কাকরাইলের মাওলানা আবদুর রশিদ। মোনাজাতে ইজতেমা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।

সাতক্ষীরা ইজতেমা
সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার ঐতিহাসিক ফুটবল খেলার মাঠে গত ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু হয় এ এলাকার আঞ্চলিক ইজতেমা। এ ইজতেমায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে প্রায় লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। তিনদিন ব্যাপী এ ইজতেমা শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় ২০ মিনিটের মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মোনাজাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা জজ, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র, জেলার বিভিন্ন আইনজীবী, দেশ-বিদেশের মেহমান ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের মাওলানা মোশাররফ হোসেন।

পটুয়াখালী জেলার প্রথম ইজতেমা
এবারই প্রথম পটুয়াখালীতে জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে এ ইজতেমা ২৫ অক্টোবর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের পটুয়াখালী সেতুর উত্তরপাশে পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের বিশাল ময়দানে এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ইজতেমায় দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৫০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। এ ইজতেমায় পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠিসহ মোট ৮টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হাজির হন। এ ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের মাওলানা রবিউল হক।

নোয়াখালীর মিনি ইজতেমা
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের আলীবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৫ লক্ষাধিক লোকের সমাগমে তিন দিনব্যাপী মিনি বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয় ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার। তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ১ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হয়। আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব শান্তি কামনায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়। এ ইজতেমা নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষীপুর জেলার তাবলিগি সাথীরা অংশ নেন। এটা এ এলাকার প্রথম বৃহৎ স্থানীয় ইজতেমা। এতে ভারত ও রাশিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েকটি জামাত অংশ নেয়।

ঝিনাইদহের আঞ্চলিক ইজতেমা
ঝিনাইদহে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত তাবলিগ জামাতের আঞ্চলিক ইজতেমা গত ২৭ অক্টোবর সোমবার থেকে শহরের মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গনে শুরু হয়। তাবলিগ জামাতের ঝিনাইদহ মারকাজ এই আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করে। শনিবার দুপুরে বাদ জোহর মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমাটি শেষ হয়। কাকরাইল মারকাজের মাওলানা ফারুক হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করেন। আঞ্চলিক এ ইজতেমায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও পাকিস্থান ও মালয়েশিয়া থেকে আগত কয়েকটি জামাত অংশগ্রহণ করেন। আয়োজক কমিটির ভাষ্যমতে, এই ইজতেমায় আনুমানিক ৩০ হাজার মুসল্লির সমাগম ঘটেছিল।

মোহনপুর ইজতেমা, রাজশাহী
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় তিন দিনব্যাপী তাবলিগ জামাতের ইজতেমা শুরু হয় গত ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে। মোহনপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ইজতেমাটি চলে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। এ ইজতেমায় রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ থেকেও শরিক হন মুসল্লিরা।

পাবনা ইজতেমা
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত পাবনার কাশিনাথপুরের ইজতেমা ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে ১৮ অক্টোবর শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এ ইজতেমায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও নেপালসহ প্রায় ৭টি দেশের লক্ষাধিক মুসল্লি শরিক হন। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রখ্যাত আলেম ও তাবলিগ জামাতের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা মোহাম্মদ জমির উদ্দিন। এর আগে বয়ান করেন অধ্যাপক ইউনূস সিকদার। উত্তরবঙ্গের মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ এ ধর্মীয় জমায়েত ছিল এটি। পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার জন্য কাশিনাথপুরে এ ইজতেমার আয়োজন করা হলেও উত্তরবঙ্গের প্রায় ১০-১২টি জেলা থেকে মুসল্লিরা আগমন করেন।

কুড়িগ্রাম  ইজতেমা
কুড়িগ্রামে তাবলিগ জামাতের তিন দিনব্যাপী মিনি ইজতেমা ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। শেষ হয় ২৫ অক্টোবর শরিবার বাদ জোহর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমায় রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতের কয়েকটি জামাতসহ লক্ষাধিক মানুষ এ ইজতেমায় অংশ নেয়। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলা থেকে তারা এসেছেন।

টঙ্গির জোড় ইজতেমা
টঙ্গির জোড় ইজতেমাটি অন্যসব ইজতেমা থেকে একটু আলাদা। এই ইজতেমায় শুধু তিন চিল্লার সাথীরা অংশ নিতে পারেন। অন্যদের এখানে আসার অনুমতি নেই। গত ২৮ নভেম্বর শুক্রবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু হয়ে তা শেষ হয় ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার। ইজতেমার প্রস্তুতি হিসেবে জামাতভুক্ত পুরাতন সাথীদের নিয়ে প্রতি বছরের মতো এই জোড় ইজতেমা হয়। টানা পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা শেষে বিশ্ব ইজতেমার প্যান্ডেল নির্মাণসহ যাবতীয় কাজ পুরোদমে শুরু করা হয়। তিন চিল্লার তাবলিগ জামাতের কর্মীরা জোড়ের পর দলে দলে মাঠে আসতে শুরু করেন এবং তারাই ইজদেমার জন্য মাঠ প্রস্তুত করেন।

সিডনি ইজতেমা, অস্ট্রেলিয়া
প্রতিবছরের মতো এবারও অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত শহর সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সিডনি ইজতেমা। ’ ক্যানবেরা ও সিডনি এলাকার মুসলমানদের জন্য এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সিডনির রুটি হিলস জামে মসজিদে শুরু হওয়া ইজতেমার আখেরি মোনাজাত সম্পন্ন হয় ২৮ ডিসেম্বর রোববার ফজরের নামাজের পর। ওই ইজতেমায় প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি অংশ নেন। সিডনির মতো ভারত, পাকিস্তান ও নেপালেও বেশ কয়েকটি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।