ময়মনসিংহ: আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ময়মনসিংহে আয়োজিত তাবলিগ জামাতের তিন দিনব্যাপী ইজতেমা।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়।
গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের আকুয়া বাইপাস মোড় সংলগ্ন ময়মনসিংহ তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ ইজতেমা।
শনিবারের আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লি অংশ নেন। তারা মহান আল্লাহর দরবারে হাত তুলে দেশের কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য প্রার্থনা করেন। এ সময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে ইজতেমা ময়দান।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা ছাড়াও আশপাশের এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ মাঠে, সড়কে, বাসার ছাদে, বাসে-ট্রাকে কিংবা ব্যক্তিগত অবস্থান নিয়ে মোনাজাত করেন।
আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে এবং রাস্তায় খড়, মাদুর, পাটি, খবরের কাগজ, পলিথিন এবং জায়নামাজ বিছিয়ে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।
ইজতেমায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের হাজার হাজার তাবলিগের সাথীরা অংশগ্রহণ করেন। ইজতেমার জন্য ময়মনসিংহ জেলার সব মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য মাঠকে ১৩টি খিত্তায় ভাগ করা হয়। খিত্তাওয়ারী মুসল্লিরা অবস্থান করেন- ১নং খিত্তায় গফরগাঁও, ২নং খিত্তায় ভালুকা, ৩নং খিত্তায় মুক্তাগাছা, ৪নং খিত্তায় নান্দাইল, ৫নং খিত্তায় পাগলা, ৬নং খিত্তায় ধোবাউড়া, ৭নং খিত্তায় হালুয়াঘাট, ৮নং খিত্তায় ফুলবাড়ীয়া, ৯নং খিত্তায় ঈশ্বরগঞ্জ, ১০নং খিত্তায় ত্রিশাল, ১১নং খিত্তায় গৌরীপুর, ১২নং খিত্তায় ফুলপুর ও ১৩নং খিত্তায় তারাকান্দার তাবলীগের সাথীরা নিজ নিজ উপজেলার জামাত নিয়ে অবস্থান নেন।
ইজতেমাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ময়দানে প্রবেশের মোড়ে মোড়ে পুলিশ বক্স স্থাপন করা হয়। এছাড়া র্যাব, পুলিশ, ডিবি ও পুলিশের বিশেষ টহল বাহিনী নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
এমএ/এমএএএমকে/এসআর