সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১৯তম ‘ফাতেমা বিনতে মোবারক’ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ‘সুললিত কন্ঠস্বর’ বিভাগে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ১০ বছর বয়সী কিশোরী হাফেজ রাফিয়া হাসান জিনাত ৭ম ও ‘হিফজ’ বিভাগে ৯ম স্থান অর্জন করে প্রতিযোগিতা শেষ করেছেন। তার এ অর্জনে আমিরাতের প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভীষণ খুশি।
পুরস্কার হিসেবে রাফিয়া বাংলাদেশি টাকায় ১৩ লাখ টাকা, সনদপত্র ও ক্রেস্ট লাভ করেছেন।
শুধুমাত্র নারীদের জন্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক এ কোরআন প্রতিযোগিতায় মোট ৭০টি দেশ অংশ নিয়েছিল। ০৬ নভেম্বর প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ছিল প্রতিযোগিতার শেষ দিন। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
দুবাইয়ের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি ক্লাবের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের স্ত্রী ফাতিমা বিনতে মোবারক উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুবাইয়ের শাসকের স্ত্রী হিন্দ বিনতে মাকতুম বিনতে জামিয়া আল মাকতুম।
দুবাই অ্যাওয়ার্ড নামে খ্যাত আন্তর্জাতিক এ কোরআন প্রতিযোগিতার প্রধান ইবরাহিম মুহাম্মদ বুমালহা বিশেষ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি সফলভাবে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হওয়ায় বিচারকমণ্ডলী ও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নানাভাবে সহায়তা প্রদান করার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সম্মাননা প্রদান করেন।
আন্তর্জাতিক এ কোরআন প্রতিযোগিতায় ‘সুললিত কণ্ঠস্বর’ প্রথম স্থান অধিকার করেন মরক্কোর প্রতিনিধি ইমান আল যাওয়াতানি। আর হিফজ বিভাগে আলজেরিয়ার প্রতিনিধি প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
পিরোজপুরের কিশোরী হাফেজ রাফিয়ার বাবার নাম মো. নাজমুল হাসান। রাফিয়া হাফেজ কারি নেছার আহমাদ আন নাছিরী কর্তৃক পরিচালিত যাত্রাবাড়ীর হিফজ মাদরাসা মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনালের ছাত্রী।
এর আগে রাফিয়া ২০১৩ সালে জর্ডানে অনুষ্ঠিত বিশ্ব হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
এমএইউ/