ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

শিশুদের আকিকার পরিচয় ও নিয়ম-বিধান

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
শিশুদের আকিকার পরিচয় ও নিয়ম-বিধান ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন: আকিকা কী ও তার হুকুম কী? আকিকা আদায়ের সময় নির্দিষ্ট আছে কি না? আকিকা আদায়ের নিয়ম কী? নিজের আকিকা নিজেই আদায় করতে পারবে নাকি তা পিতাকেই আদায় করতে হবে? আকিকার গোশত পিতামাতা ও আত্মীয়রা খেতে পারবে? এসব বিষয়ে জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর: সন্তান জন্মের পর আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে জন্মের সপ্তম দিনে পশু জবাই করাকে আকিকা বলে। আকিকা করা মুস্তাহাব।

হাদিস শরীফে আকিকার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।

রাসুল (সা.)-কে আকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সন্তানের আকিকা করার ইচ্ছা করে, সে যেন তা পালন করে। ছেলের জন্য সমমানের দুইটি ছাগল। আর মেয়ের জন্য একটি। ’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯৬১)

অন্য হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, সন্তানের সঙ্গে আকিকার বিধান রয়েছে। তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করো (অর্থাৎ পশু যবাই কর) এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও। (বুখারি, হাদিস: ৫৪৭২)

সন্তান জন্মের সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম
রাসুল (সা.) তার দৌহিত্র হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আকিকা সপ্তম দিনে করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৮৩৪)

এছাড়াও জামে তিরমিজির এক হাদিসে (হাদিস: ১৫২২) সপ্তম দিনে আকিকা করার কথা বলা হয়েছে। তাই সম্ভব হলে সপ্তম দিনেই আকিকা করা উত্তম।

সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে বা একুশতম দিনে করা ভালো। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আকিকা সপ্তম দিনে হওয়া উচিত। তা সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে। তাও সম্ভব না হলে একুশতম দিনে। ’ (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস ৭৬৬৯)

একুশ দিনের মধ্যে আকিকা করা না হলে, পরবর্তীতেও তা আদায় করা যাবে। সন্তানের আকিকা করার দায়িত্ব তার পিতার। অবশ্য অন্য কেউ বা নিজেও নিজের আকিকা করা জায়েজ আছে।

গোশত সন্তানের পিতামাতা-আত্মীয়স্বজন খেতে পারবে
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আকিকার গোশত নিজে খাবে, অন্যকে খাওয়াবে এবং কিছু সদকা করবে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৭৬৬৯)

সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা (রহ.) বলেন, আমি আতা (রহ.)-কে বলতে শুনেছি, ‘...আকিকার গোশত তার পরিবার খেতে পারবে এবং হাদিয়াও দিতে পারবে। ’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তা কি সদকা করে দিতে হবে? ‘তিনি বললেন, না, তুমি চাইলে খেতে পারো এবং হাদিয়াও দিতে পারো। ...’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯৬৯)

সূত্র: ফাতহুল বারি: ৯/৫০৭; ফাতাওয়া বাজ্জাযিয়া ৩/৩৭০; রদ্দুল মুহতার: ৬/৩২৬; আলমাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ, কুয়েত: ৩০/২৭৬; তুহফাতুল মাওদুদ বিআহকামিল মাওলুদ: ৭৮)

প্রশ্নটি করেছেন: কামরুদ্দিন নাদিম, চুয়াড়াঙ্গা।

ইসলাম বিভাগে আপনিও প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। প্রশ্ন ও লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।