শৈল্পিক সৌন্দর্য ও চমৎকার স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে মসজিদটির অবকাঠামো নির্মিত। মসজিদের ভেতরে রয়েছে দুইটি সুদৃঢ় খিলান-স্তম্ভ।
মসজিদের বড় ও একমাত্র গম্বুজটির চারপাশ ঘিরে ছোট-বড় দশটি মিনার রয়েছে। চারকোণায় রয়েছে চারটি। মসজিদে দরজা মাত্র একটি হলেও জানা রয়েছে দুইটি। একটি উত্তর দিকে, অন্যটি দক্ষিণে।
মসজিদের অভ্যন্তরের দেয়ালে রয়েছে বিভিন্ন কারুকাজের ফুল-ফুলদানী। মেহরাবেও অঙ্কিত রয়েছে শৈল্পিকতায় মোড়ানো পাতা-গুল্ম।
মসজিদটি ৫৮ শতক জায়গার উপর মির্মিত। মসজিদটির মূল ভবন ও বারান্দা রয়েছে ১৭ শতকের উপর। আর ৪১ শতক জমিতে রয়েছে গ্রাম্য কবরস্থান। জানা গেছে, তৎকালীন খান বাড়ীর লোকজনসহ গ্রামের অন্যরা জায়গাটি ওয়াকফ করে।
মসজিদের ভিতর ইমাম বাদে তিনটি কাতারে ১০ জন করে মোট ৩০ জন মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন; বিশাল চত্তরের মত বারান্দায় প্রায় ১০০ জন নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হাফেজ রুহুল আমিন।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাকাল
মসজিদটির দরজার উপর প্রতিষ্ঠাকাল উল্লেখ রয়েছে। খোদাইকৃত একটি মূল্যবান কষ্টি পাথরে আরবি ভাষায় এর প্রতিষ্ঠাকাল উল্লেখ করা হয়েছে। লেখা আছে- হিজরি ১২২৮ বা ইংরেজি ১৮০৮ সন।
বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুসারে এবং মসজিদের গায়ে বর্তমানে যেসব নির্দশন রয়েছে সে হিসেবে ধারনা করা হয়, মসজিদটি নির্মিত হয়েছে মোঘল আমলে; বক্সার বিদ্রোহীদের নেতা হিরোঙ্গি খাঁর বিদ্রোহের সময়।
সামান্য দূর ও বাইরে থেকে মসজিদটিকে বিশালাকৃতির মনে হয়। অত্যন্ত নিখুঁত ও মনোমুগ্ধকর এই মসজিদটি জাতীয় জাদুঘরের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানের রয়েছে। ১৫ বছর আগে কর্তৃপক্ষ মসজিদটির দায়িত্ব নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা মসজিদটি পরিদর্শনে আসেন।
যেভাবে যাবেন
শেরপুর শহর থেকে শেরপুর-ঝিনাইগাতি। ঝিনাইগতি রোড় থেকে প্রায় ১৪ কি.মি. দূরে শেরপুর-ঝিনাইগাতি-নালিতাবাড়ি মোড়। এই মোড় থেকে সরাসরি মসজিদটি দেখ যায়। সেখান থেকে থেকে বাম দিকে হাফ কিলো দূরেই ঐতিহাসিক মসজিদটির অবস্থান।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লেখা পাঠাতে পারেন। জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন ও লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এমএমইউ