ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

অর্থ সঙ্কটে মসজিদের কাজ বন্ধ: দুর্ভোগ মুসুল্লিদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
অর্থ সঙ্কটে মসজিদের কাজ বন্ধ: দুর্ভোগ মুসুল্লিদের

নেত্রকোনা: ভিন্ন পেশার তিন উদ্যোক্তার হাত ধরে নেত্রকোনার বারহাট্টায় একটু একটু করে এগিয়ে চলছিল একটি মসজিদের নির্মাণকাজ। আগে মসজিদটি ছিল টিনশেড, নড়বড়ে।

স্থানীয় মুসুল্লিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চিন্তা করে মসজিদ পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেন তারা। কিন্তু আর্থিক সঙ্কট এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ করে মসজিদটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আর এ কারণে রমজান মাসে নামাজ পড়তে সমস্যায় পড়েছেন মুসুল্লিরা। আর নির্মাণকাজ মাঝ পথে বন্ধ হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন উদ্যোক্তারা।

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের উত্তরপাড়া জামে মসজিদটি ২৯ বছরের পুরাতন। এখানে শতাধিক পরিবারের লোকেরা নামাজ আদায় করেন। মুসল্লিদের বেশিরভাগই কৃষক ও খেটে-খাওয়া মানুষ। মসজিদটি প্রতিষ্ঠালগ্নে একটি কুঁড়েঘর ছিল। পরে বিভিন্নজনের উদ্যোগে মসজিদে ঢেউটিন লাগানো হয়েছিল।

পুরাতন ঢেউটিনের ভাঙা ছিদ্র দিয়ে মসজিদের ভেতরে বৃষ্টির পানি পড়তো। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে নামাজ পড়তে এসে নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়তেন মুসল্লিরা। পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সেনাসদস্য রাসেল আরাফাত, বিদ্যালয় শিক্ষক জুয়েল মিয়া ও  গণমাধ্যম কর্মী কামাল হোসাইন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু আর্থিক সঙ্কটের কারণে বেশি দূর আগাতে পারেননি তারা। ভেতরের ফ্লোর, সিলিং, বারান্দার ওয়াল, বাথরুমসহ কিছু কাজের জন্য রমজান মাসে নামাজ পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় মুসুল্লিরা।

নির্মাণাধীন মসজিদটির ফ্লোর সম্পূর্ণ না হওয়ায় নামাজ আদায়ও সম্ভব হচ্ছে না। মসজিদের মুসল্লি ও প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টে কর্মরত সেনা সদস্য রাসেল আরাফাত জাগোনিউজকে বলেন, কাজটি শেষ করতে না পেরে অপরাধবোধ কাজ করছে, কাজ  শুরু করে চার বছরেও শেষ করতে পারলাম না। এখন মুসল্লিরা মসজিদে এসে নামাজ আদায় করতে পারছেন না।

মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি গণমাধ্যম কর্মী কামাল হোসাইন বলেন, বহু চেষ্টার পর টেনেটুনে অনেকটা কাজ শেষ করতে পেরেছি। কিন্তু বাকি কাজ এখন আর এগিয়ে নিতে পারছি না। মসজিদের পুরো কাজ শেষ করতে হলে আরও পাঁচ লাখ টাকার মতো প্রয়োজন। ভেবে পাচ্ছি না কিভাবে কী করব?

গ্রামের বাসিন্দা-মুসল্লি কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ও রমজান আলী বাংলা নিউজকে বলেন, নির্মাণকাজ শেষ না হলে মসজিদে এসে আর নামাজ আদায় হবে না। ফ্লোর উঁচু-নীচু, টাইলস কিংবা ফ্লোর না হলে নামাজ পড়তে কষ্ট হচ্ছে। এখন আল্লাহ্ জানেন কবে টাকা-পয়সা জোগাড় হয়ে নির্মাণকাজ শেষ হবে। আমরা গ্রামের খেটে-খাওয়া গরিব মানুষ। বড় অংকের টাকা দিয়ে সাহায্য করার সামর্থ্য নেই। তাই নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ের সুযোগ হবে কিনা জানি না।

যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি আর্তিক সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৭১২৪৭৬৭৪১/০১৭২৫০৫৮১৭৫ এই বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন কমিটির সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, ১৬ এপ্রিল, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।