ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

অসাধারণ ক্ষুদে প্রতিভা অমৃতা রায়

আকবর হায়দার কিরন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৩
অসাধারণ ক্ষুদে প্রতিভা অমৃতা রায়

ফ্লোরিডা থেকে: ফ্লোরিডার খ্যতনামা নোভা সাউথ ইস্টার্ন ভার্সিটি স্কুলের চর্তুথ গ্রেডের ছাত্রী অমৃতা রায়ের বয়স দশ বছরের কাছাকাছি। এই বয়সেই অসাধারণ প্রতিভা দিয়ে জয় করে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের হৃদয়।



পড়াশুনার পাশাপাশি কত্থক নাচ, গান, ছবি আঁকা, দাবা খেলা প্রভৃতির মাধ্যমে অমৃতা উত্তর আমেরিকায় একজন বিশিষ্ট শিশু শিল্পী হিসেবে নিজের একটি বিশেষ অবস্থান করে নিয়েছে।

amবিশিষ্ট ব্যবসায়ী অবনী মোহন রায় ও মা ডালিয়া রায়ের একমাত্র কন্যা অমৃতাকে কলকাতার প্রবাসী মানুষ আমন্ত্রণ করে নিয়ে যায় তাদের মন্দিরের ফান্ড রাইজিংসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান-নাচ করতে। অমৃতার বাবা বাংলাদেশি।
 
ফ্লোরিডার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ গান করতে নিয়মিতভাবে আমন্ত্রিত হয় ক্ষুদে শিল্পী অমৃতা। গতবার ফ্লোরিডায় আয়োজিত ফোবানায় নাচ ও গানে সে প্রথম পুরস্কার অর্জন করে। চলতি বছরও আটলান্টায় আয়োজিত ফোবানা সম্মেলনে অমৃতা সেরা শিশু হিসেবে প্রথম পুরস্কার পান।

কিন্ডারগার্ডেনে পড়ার সময় আঁকা বিমূর্ত ছবির কোলাজের জন্য অমৃতা বিশেষ প্রকাশক অ্যাওয়ার্ড পায়।

গত বছর ১৬৫টি বই পড়ে অমৃতা লাভ করে রিডেথন অ্যাওয়ার্ড।

অমৃতা গান শিখছে ২০০৮ সাল থেকে। তার শিক্ষকদের ভেতর রয়েছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিল্পী ও সংগীত শিক্ষক চিত্রা সুলতানা।

কলকাতার শেলী চক্রবর্তীর কাছে শিখছে কত্থক নাচ। ৬ বছর বয়সে মন্দিরে নাচ করে ‘হরি হরি গোবিন্দ বল’ গানটির সঙ্গে। অমৃতার বাবা অবনী মোহন রায় জানান, লাইব্রেরিতে গেলে অমৃতা অন্তত ২৫টি বই নিয়ে আসে। ওর পড়ার সুবিধার জন্য বাসার বাথরুমেও বুক শেলফ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বারন্স অ্যান্ড নোবেলসে গেলে বাবা-মাকে বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষায় রাখে। বই কেনার পাশাপাশি বাড়তি আরও কিছু সময় চেয়ে নেয় বেশি করে বই দেখার জন্য। am

১০ বছরের অমৃতার খুব ব্যস্ত জীবন লেখাপড়া, গান, নাচ, দাবা খেলা প্রভৃতি নিয়ে। বাবা-মাকেও খুব ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় তাদের মেয়েকে নিয়ে। নাচের শিক্ষকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য অমৃতার মা দিনের পর দিন ৫৬ মাইল পথ ড্রাইভ করেছেন।

ফ্লোরিডার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতিকুর রহমান সহ আরও অনেকেই অফুরান ভালোবাসা, স্নেহ নিয়ে সবসময় অমৃতার কাছাকাছি অবস্থান করেন। ফ্লোরিডার ঐতিহ্যবাহী এশিয়ান ফুড ফেয়ারে প্রতি বছর দাপটের সঙ্গে পারফর্ম করে ক্ষুদে অমৃতা। তার নাচের জন্য বিশেষ গানগুলোর ট্র্যাক করেছেন খ্যতনামা সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন। বাকিগুলো করেছেন আরটিভির সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল আজাদ খোকন।

অমৃতার গাওয়া গানের সিডির কাজ এগিয়ে চলেছে। ৭টি গানের রেকর্ডিং হয়ে গেছে প্রফেসনাল রেকর্ডিং স্টুডিওতে। অন্তরা চৌধুরীর গান ‘আমার পুতুল সোনা’ গেয়ে গেলবার ফোবানায় সবাইকে চমৎকৃত করে অমৃতা। এবার ফোবানায় করেছে ‘টাকডুম টাকডুম বাজে বাংলাদেশের ঢোল’।

ছোট্ট অমৃতা গান করে তার স্মৃতি থেকে, কখনই কাগজে লিখে রাখে না। এমনকি স্টুডিওতে গান রেকর্ডিং করতে গিয়েও এক টেক এ করে ফেলে। একমাত্র ভাই অনিক রায়ের সঙ্গে ওর বয়সের ব্যবধান ১৩ বছর। ভাই-বোনের রয়েছে মধুর সম্পর্ক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৩
জেডএস/এএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।