ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

সবচেয়ে বড় চকলেট ভাস্কর্য

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৩
সবচেয়ে বড় চকলেট ভাস্কর্য

বন্ধুরা, চকলেট খেতে পছন্দ করো তো? জানি, তোমার উত্তর হবে ‘অবশ্যই!!’
সত্যি, চকলেট খেতে কে না ভালোবাসে! সবার প্রিয় একটি খাবার চকলেট। চুপিচুপি বলে রাখি, আমিও কিন্তু চকলেট খেতে ভীষণ পছন্দ করি।



এবার একটু ভাবো। তোমার সামনে বিশাল আকৃতির একটি চকলেট। অথচ তুমি এক কামড়ে সেটাকে খেতে পারছো না। এর চেয়ে কষ্টের বিষয় আর কি হতে পারে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও আমাদের মাঝে মাঝে পড়তে হয়।

যেমন, চকলেট তো আমরা শুধু খেতেই ভালোবাসি। কিন্তু চকলেট দিয়ে যে ভাস্কর্য তৈরি হয়, সেকথা কী জানো? হ্যাঁ, অবাক হলেও সত্যি যে চকলেট দিয়ে বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা নানারকম শিল্পকর্মও করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কেগস ক্যান্ডিস নামক চকলেট কোম্পানির তৈরি চকলেটের দাবা সেট, পিটার লারডংয়ের তৈরি চকলেটের লং প্লেয়ার, এমন কী চকলেট দিয়ে সাতজন শিল্পী মিলে তৈরি করেছেন একটা আস্ত ঘর পর্যন্ত!
তবে হ্যাঁ, এগুলোর কোনোটাই কিন্তু গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডসে জায়গা করে নেয়নি। গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চকলেটে তৈরি ভাস্কর্য হিসেবে নাম তুলেছে ফ্রাসোঁয়া মিলের তৈরি একটি চকলেট ভাস্কর্য। এটি তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার আরভিনে।

এই চকলেট ভাস্কর্য মেক্সিকোর কাকালকান পিরামিডের আদলে বানানো হয়েছে। এর উচ্চতা এক ফুট ১১ ইঞ্চি। দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ১২ ফুট করে। ভাস্কর্যটির ওজন ২৭৩ কেজি ৩০০ গ্রাম।

মায়া ক্যালেন্ডার অনুসারে ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই গুজবকে কেন্দ্র করেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ চকলেট ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়। মায়া ক্যালেন্ডারে পৃথিবী ধ্বংসের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১২ তে আবার সেটিকে ভেঙে ফেলা হয়।

তবে এখন পর্যন্ত এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চকলেট ভাস্কর্য হিসেবে গিনেস বুকে তার রেকর্ডটি ধরে রেখেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৩
এএ/এসআরএস-ichchheghuri@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।