ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

সিঁথি ও কথা বলা ছাগলছানা | চান্দ্রেয়ী পাল মম

গল্প/ইচ্ছেঘুড়ি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৪
সিঁথি ও কথা বলা ছাগলছানা | চান্দ্রেয়ী পাল মম

একদিন আমি আর আমার ছোট বোন সিঁথি স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিলাম। গল্প করতে করতে হাঁটছি দুজন।

হঠাৎ দেখি এক ছাগলের ছানা। আগেই বলি আমাদের এলাকায় আবার বেশ কিছু বিখ্যাত (?) ছাগল আছে। সেগুলোর কিছুদিন পর পরই বাচ্চা হয় আর এলাকায় ছাগলের সংখ্যা বাড়তেই থাকে।

একটা বাচ্চা খুবই লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরছে। হঠাৎ তার চোখে পড়লো এক চিপসের প্যাকেট। রাস্তায় যেমন খালি প্যাকেট পড়ে থাকে, সেগুলো। বাচ্চাটা মহানন্দে সোজা মুখ ঢুকিয়ে দিল প্যাকেটে। নিশ্চই মসলার গন্ধ পেয়ে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আর মুখ বের করতে পারে না। অনেক চেষ্টা করেও না পেরে সে লাফালাফি শুরু করে দিল। আমরা দুজন দাঁড়িয়ে ব্যাপারটা খুবই উপভোগ করছিলাম। সিঁথির মনে দয়ামায়া ভালোই। সে গিয়ে প্যাকেটটা খুলে দিল। আর সঙ্গে সঙ্গে ছাগলটা বলে উঠল-
- Thank you!!!!!
আমরা তো অবাক। ছাগলের বাচ্চাও কথা বলে!! চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম ব্যাপারটা কেউ খেয়াল করেনি। ততক্ষণে সিঁথিও কথা বলা শুরু করে দিয়েছে।
- YouÕre welcome….তুমি কথা বলতে পার?
-হ্যাঁ। কেন জানো না?
-না, কখনো শুনিনি তো তাই। আচ্ছা, তোমার নাম কি?
-কুটু!
-কি? ও কুটু? সুন্দর নাম!!!!
-আমরা তো সারাক্ষণই কথা বলি। কিন্তু কেউ বুঝতে পারে না।
মাঝে আমি যোগ করলাম-
-কেন?
-কারণ কেউ আমাদের দামই দেয় না!
-দাম দেয় তো। এই যে মানুষ তোমাদের পোষে।
-আরে ওটা তো শুধু খাওয়ার ধান্দায়। আমরা বড় হবো, ধরবে খাবে।
-আহারে...
-এই কারণে আমাদের ছাগল কমিটির আজকে বৈঠক হবে। আমি যাব সেখানে।
-ওরে বাবা! তোমাদের কমিটিও আছে! আবার সেখানে বৈঠকও হয়?
-হ্যাঁ, হয়।
-তাহলে তো তোমাদের ব্যাপারেও অনেক কিছু জানার আছে!!
এইভাবে এক ছাগলের বাচ্চার সাথে আমাদের পরিচয় হলো! আজকে এখানেই ইতি। ছাগলের বাচ্চার মিটিংয়ের গল্প তোমাদের আরেকদিন বলব।

লেখক: চান্দ্রেয়ী পাল মম
দশম শ্রেণী,
ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ

Jongol_Inner

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।