ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘর আসরের জাতীয় সম্মেলন’২০১৫ শুরু হচ্ছে আগামী শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি)।
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোল’ স্লোগান নিয়ে এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায়।
শুক্রবার বেলা ১১টায় শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
শনিবার সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি থাকবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ এবং শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সমাপনী অনুষ্ঠানে শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার স্মৃতিপদক প্রদান করা হবে শিল্পী মুর্তজা বশিরকে।
বুধবার (১৪ জানুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সম্মেলনের কর্মসূচি তুলে ধরেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠকরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উদ্বোধনের পর শুক্রবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শুরু হবে উদ্বোধনী পর্বের আলোচনা সভা ও খেলাঘরের শিশু-কিশোরদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
বেলা সাড়ে ১২টায় বের হবে সম্মেলনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শিল্পকলা একাডেমী থেকে বের হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে পুনরায় শিল্পকলা একাডেমীতে এসে শেষ হবে।
দুপুর ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে শুধুমাত্র সংগঠকদের জন্য সাংগঠনিক অধিবেশন।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বে খেলাঘরের সারাদেশের নির্বাচিত জেলার শিশু-কিশোর ভাই-বোনেরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে।
শনিবার দিনব্যাপী সাংগঠনিক অধিবেশনের পর বিকেল ৫টা থেকে নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী আয়োজন। আলোচনা সভা, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার স্মৃতিপদক প্রদান ও নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ শেষে সন্ধ্যা ৬টায় পরিবেশিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খেলাঘরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামাল চৌধুরী, প্রণয় সাহা ও নূরুর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ্ পলাশ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাহাবুল ইসলাম বাবু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু ও গোবিন্দ বাগচী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্মেলন সফল করতে সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা পান্না কায়সারকে চেয়ারম্যান, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, কামাল চৌধুরী, নূরুর রহমান সেলিম, প্রণয় সাহা ও ডা. এ. কিউ. এম. সিরাজুল ইসলামকে কো-চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়াকে আহবায়ক, সহ সাধারণ সম্পাদক হান্নান চৌধুরী ও আবুল ফারাহ্ পলাশকে যুগ্ম আহবায়ক করে ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদ গঠন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ১৫টি উপ-পরিষদও। ইতোমধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রস্তুতি পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫