খেলাধুলা ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ছোটদের তো খেলনা না হলে চলেই না।
তোমরা তো অনেক রকম খেলনা নিয়ে খেলো। পুতুল, খেলনা গাড়ি, রোবট- কত রকম খেলনাই না পড়ে থাকে বিছানায় বা পড়ার টেবিলে, হয়তো মেঝেতেও। এই যে এত এত খেলনা নিয়ে তুমি খেলো, এগুলো নিয়েও যে জাদুঘর হতে পারে তা কি কখনো ভেবেছ?
অবাক হচ্ছ বুঝি? কথাটা কিন্তু সত্যি। খেলনার জাদুঘরও আছে। একটা নয়, অনেকগুলো। বিভিন্ন দেশে খেলনার জাদুঘর রয়েছে। তবে সব জাদুঘরকে পেছনে ফেলে মালয়েশিয়ার একটি জাদুঘরকে অনেকেই বলে থাকেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলনার জাদুঘর।
মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম খেলনার জাদুঘরটি। এর নাম ‘পেনাং টয় মিউজিয়াম। ’ ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি খেলনা সংরক্ষিত আছে এই জাদুঘরে। এছাড়া স্থান স্বল্পতার কারণে ৩০ হাজারে বেশি খেলনা প্রদর্শন করা সম্ভব হচ্ছে না, সেগুলো আলাদা তুলে রাখা হয়েছে।
২০০৫ সালে চালু হওয়া এই জাদুঘরটির আয়তন ১০০০ বর্গমিটার। ‘মালয়েশিয়ান বুক অব রেকর্ডস’ এই জাদুঘরটিকে মালয়েশিয়ার প্রথম খেলনার জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে ‘মিউজিয়াম অব চাইল্ডহুড’ নামে একটা জাদুঘর আছে। এই জাদুঘরটা কিন্তু খেলনার জাদুঘর। ১৮ শতক থেকে ২১ শতকের বিভিন্ন রকম খেলনা সংরক্ষিত আছে এই জাদুঘরে। প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার দর্শনার্থী জাদুঘরটি দেখতে আসেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি রাষ্ট্রের ক্যানসাসেও একটা খেলনার জাদুঘর আছে। সেটার নাম ‘ন্যাশনাল টয় অ্যান্ড মিনিয়েচার মিউজিয়াম’। ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি ক্যানসাস সিটির ক্যাম্পাসে এই জাদুঘরটি স্থাপিত হয়েছে। এখানে তিন লাখেরও বেশি খেলনা সংরক্ষিত আছে।
জার্মানির বাভারিয়ার নুরেমবার্গে রয়েছে আরেকটি খেলনার জাদুঘর। এটির নাম ‘নুরেমবার্গ টয় মিউজিয়াম। ’ এটি ১৯৭১ সালে চালু হয়েছিল। একটি চারতলা ভবনের পুরোটা জুড়ে রয়েছে এই জাদুঘরটি।
এছাড়াও বিশ্বের নানা প্রান্তে রয়েছে আরো অনেক খেলনার জাদুঘর। সময় পেলে ঘুরে আসতে পারো এর কোনো একটা থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫