বিন্নি ধানের ভাতের মতো
গভীর মমতায়
মিলেমিশে বাঁচে ওরা
সুখেরই আশায়।
নতুন ধানের গন্ধ মাখে
সবাই মিলে গা'য়
মাঠে কিংবা অর্চনাতে
রাং-ঢোল বাজায়।
পাহাড়-নদী সূর্য-তারা
সবাই তালে তালে
হাসি মুখে যায় যে ফিরে
সেই না মহাকালে।
মেগং ফুলটি ঐ পাহাড়ে
সময় এলো ফোটার
সোনা রঙা ধানগুলোও
ঘরে ঘরে ওঠার।
নাচে গানে বাদ্য ঢোলে
নৈবেদ্য সাজে
আদুরী-খ্রাম-দামা সবই
সুরে সুরে বাজে।
সূর্য দিলো মুঠো ভরে
আলো-খাবার-জল
উঠোন ভরা ধানের হাসি
নেই তো কোনো ছল।
প্রাপ্তি স্বীকার করি যদি
শান্তি পাবো মনে
জুমনাচে ঐ তালে তালে
সবাই একই সনে।
আনন্দ আর নৈবেদ্য
সেই সে কলরব
ক্রুশবিদ্ধ হয়ে গেছে
প্রাণের অনুভব।
নিতাই নদীর জলধারা
পায়না খুঁজে আর
আগের মতো প্রাণোছোঁয়া
আদিম সংস্কার।
টলটলে ঐ সোমেশ্বরী
কংশ নদীর জল
পাহাড়িদের চোখেও দেখো
করছে টলমল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৫
এএ