ঢাকা: চলছে বিজয়ের মাস। জানোই তো, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা চেতনার অন্যতম প্রতীক স্বাধীনতাযুদ্ধ স্মরণে নির্মিত বিভিন্ন ভাস্কর্য।
রাজধানী বা দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বচক্ষে অনেকেই দেখে থাকবে এই ভাস্কর্যগুলো। এগুলো নির্মাণের পেছনে রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের এক একটি বাস্তব প্রেক্ষাপট।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন ভাস্কর্য নিয়ে ইচ্ছেঘুড়িতে থাকছে বিশেষ ধারাবাহিক আয়োজন। এ পর্বের ভাস্কর্য সম্পর্কে জেনে নাও।
সাবাস বাংলাদেশ
সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী শহীদ হন। তাদের স্মৃতির সম্মানে সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। স্মৃতি ভাস্কর্যের ভাস্কর নিতুন কুন্ডু।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ বর্গফুট জায়গার ওপর সাবাস বাংলাদেশের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯১ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি।
সাবাস বাংলাদেশে দু’জন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি রয়েছে। দু'জন মুক্তিযোদ্ধার পেছনে ৩৬ ফুট উঁচু একটি দেয়াল। মূল ভাস্কর্যের নিচের দু’পাশে অর্থাৎ ডান ও বামপাশে ছয় ফুট দৈর্ঘ্য ও পাঁচ ফুট প্রস্থের দু'টি চিত্র খোদাই করা।
প্রেক্ষাপট
১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সক্রিয় ছিলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা শহীদ হন। পরবর্তীতে একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এপ্রিল মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করে। হানাদার বাহিনী প্রতিরোধে সক্রিয় অধ্যাপক হবিবুর রহমান, অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার, অধ্যাপক মীর আক্ষদুল কাউযুমসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা- কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অনেকেই শহীদ হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
এসএমএন/এসএস
** টিএসসি সড়কদ্বীপের ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা
** ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপরাজেয় বাংলা’
** অকুতোভয় সংশপ্তক
** চেতনার বিজয় ‘৭১’