ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

সিঁড়িটা মাছের!

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
সিঁড়িটা মাছের!

উঁচু কোনো স্থানে ওঠার জন্য সিঁড়ি বা মইয়ের উপরই নির্ভর করে মানুষ। কিন্তু মাছ কি কখনো সিঁড়ি বেয়ে ওঠে?
হ্যাঁ, মাছও সিঁড়ি বেয়ে ওঠে।

মানুষই মাছের জন্য তৈরি করে দিয়েছে এমন সিঁড়ি।
বেশ মজার ব্যাপার, তাই না?
মাছের জন্য সিঁড়িকে ফিশ ল্যাডার, ফিশওয়ে, ফিশপাস বা ফিশস্টেপ বলা হয়। নদীর বাঁধ বা জলপ্রপাতের মতো জায়গায় এ ধরনের সিঁড়ি তৈরি করা হয়।

এবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, মাছের আবার সিঁড়ি লাগবে কেন?

আসলে মাছকে বিভিন্ন কারণে পরিযাণ করতে হয়। এই যেমন ধরো কিছু মাছ ডিম পাড়তে সাগর থেকে নদীতে চলে আসে। এটাই হচ্ছে পরিযাণ। এই পরিযাণের ক্ষেত্রে বাঁধ বা জলপ্রপাত মাছকে বাধাগ্রস্ত করে। মাছ তখন আর সেটা পার হতে পারে না।

ঠিক এ কারণেই মাছের সিঁড়ি দরকার হয়। এরকম বাধা পাওয়ার মতো জায়গাগুলো যেন মাছ সহজেই পারত হতে পারে, সেজন্য এসব জায়গায় সিঁড়ি তৈরি করে দেয়া হয়। সিঁড়ির ধাপগুলো হয় নিচু এবং এর উপরে বেশ জোরে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়।
এখন বলো তো, মাছ কীভাবে সিঁড়ি দিয়ে ওঠে?

মাছকে আসলে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হয় না। পানির প্রবাহই মাছকে উপরে তোলে। আর এভাবেই মাছ প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম বাধা পার হয় ফিশ ল্যাডারের সাহায্যে।
মাছের জন্য সিঁড়ি তৈরির এই ধারণা কিন্তু অনেক আগের। ১৭ শতাব্দীতে ফ্রান্সে প্রথম গাছের ডাল দিয়ে এ ধরনের ফিশ পাস তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে কানাডা ও আয়ারল্যান্ডেও এরকম চেষ্টা করা হয়।
তবে বিশ্বের প্রথম ফিশ পাস তৈরি হয় যুক্তরাষ্ট্রের রোডস আইল্যান্ডের পটুক্সেট ফলস বাঁধে।
এখন অবশ্য অনেক দেশেই এরকম ফিশ পাস আছে। আর এসব ফিস পাস দিয়ে মাছও এখন বাধা অতিক্রম করে মানুষের মতো নিচু থেকে উঁচুতে উঠতে পারে স্বাচ্ছন্দ্যে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।