ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক।
একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।
তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

তোমার সেই গোপন রহস্যটা কী, জ্যাক? নোরা জিজ্ঞেস করে। আমরা জানার অপেক্ষায় আছি।

ঠিক আছে, তাহলে শোন, জ্যাক বলে। এই লেকটা কত বড় তা তো তোমরা জানই, কি জানো না, এর চারদিকের সবটা ঘিরে বন আর বন, কেবল তীরের দু’দিকে কয়েকটা খামার আর কটেজ। আমি এখানের ছোট্ট একটা দ্বীপ চিনি, লেকের অনেক দক্ষিণে, আমি নিশ্চিত আর কেউ এর কথা জানে না।

আমার ধারণা আমি ছাড়া এখনও পর্যন্ত আর কেউ সেখানে যায়নি। দ্বীপটা খুবই মনোরম এবং লুকিয়ে থাকার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সেরা জায়গা!
ওরা চোখ বড় বড় করে অবাক হয়ে খুব মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শোনে। বিশাণ হ্রদের গভীরে নির্জন এক দ্বীপ! ওহ, সত্যিই যদি ওরা সবাই ওখানে গিয়ে একবার লুকাতে পারে-এবং নিজেদের মতো করে বসবাস করতে শুরু করে- তাহলে নির্দয় কোনো খালা-খালুর পক্ষে তাদের চড় মারা বা বকাবাদ্যি করা ও সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করানো সম্ভব হবে না!

তোমরা কি খুব বেশি পরিশ্রান্ত, লেকের পার দিয়ে হেঁটে হেঁটে কি অন্য পারে যেতে পারবে, যেখান থেকে দ্বীপটা দেখতে পাবে? জ্যাক জিজ্ঞেস করে। একদিন হঠাৎ-ই আমি সেটা দেখবার সুযোগ পাই। দ্বীপের বিপরীত দিকে লেকের তীরজুড়ে বিশাল এক বন। বনটা এতই ঘন যে আমার মনে হয় না এখনও পর্যন্ত কেউ সেদিকে গেছে এবং এ কারণে কেউ আমার সেই দ্বীপটিও দেখতে পায়নি!

জ্যাক! জ্যাক! তোমার দ্বীপটি দেখাবার জন্য আমাদের নিয়ে যাও! নোরা অনুরোধ করে। ওহ, আমাদের যেতেই হবে। আমরা সবাই ক্লান্ত- তবে আমাদের সেই রহস্যের দ্বীপ দেখতে হবে।

চলবে...

আগের পর্বে পড়ুন

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
**
এর আগের পর্ব: রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।