ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক।
একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।
তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

“নৌকাটা কোথায়, জ্যাক?” বললো নোরা।
“একটু অপেক্ষা করো, তাহলেই দেখতে পাবে!” জ্যাক বলে।

“সবাইকে আমার গোপন জিনিস দেখাবার জন্য রেখে দেই না! তোমরা তিনজন ছাড়া আর কেউই আমার নৌকার কথা জানে না!”

জুনের রোদ গায়ে মেখে সে হাঁটতে শুরু করে এবং তিনটি বাচ্চা তাকে অনুসরণ করে। সে লেকের কাছে আসে এবং নৌকা দেখবার আশায় সবাই সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরও জ্যাক থেমে সেটি দেখাবার আগ পর্যন্ত কেউই সেটি দেখতে পায় না।

“ওই যে ওখানে লেকের ওপর ঝুলে থাকা ভূর্জ গাছের ঝোপটা দেখছ?” সে বলে। “আমার নৌকাটা ওটার নিচেই আছে! খুব ভালো করে লুকানো, তাই না?”

মাইকের চোখ জোড়া চকচক করে ওঠে। নৌকা তার পছন্দ। আশা করছে জ্যাক তাকে নৌকা বাওয়া শেখাবে। বিশাল গাছটার নিচ থেকে বাচ্চারা নৌকাটা বের করে আনে। মস্ত বড় নৌকা, কিন্তু খুবই পুরাতন। ভেতরে প্রচুর পানি, এবং তা সেচতে জ্যাক ওদের সবাইকে কাজে লাগিয়ে দেয়। নৌকাতে পুরাতন এক জোড়া বৈঠা পাওয়া যায়, এবং জ্যাক সেগুলো জায়গা মতো রাখে। “এবার এক এক করে উঠে এসো,” সে বলে। “আমি খুব ভালো নৌকা বাইতে পারি। তুমি কি একটা বৈঠা নিতে চাও, মাইক?”

মাইকও আগ্রহ দেখায়! ছেলে দুটা নৌকা বাইতে শুরু করে। মাথার ওপর প্রচণ্ড রোদ, তবে মাঝে মধ্যে মৃদুমন্দ বাতাস বইছিল। শীঘ্রই বাচ্চারা দূর থেকে তাদের সেই রহস্য দ্বীপ দেখতে পায়। মাঝখানের সেই ছোট্ট পাহাড় দেখে ওরা সেটা খুব সহজেই চিনতে পারে।

দ্বীপটাকে এর আগে দেখা সেই রাতের চাইতেও আরও বেশি রহস্যময় মনে হয়, তবে এখন তপ্ত জুনের পাতলা কুয়াশার মাঝ দিয়ে পথ চলতে গিয়ে, সেটিকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে মন্ত্র-মুগ্ধের মতো লাগে। কাছাকাছি পৌঁছার পর, ওরা জলের কিনারাজুড়ে কাত হয়ে থাকা উইলো গাছের সারি দেখতে পায় এবং এখানে সেখানে ছড়ানো ছিটানো জল-মোরগের ডাক শুনতে পেয়ে বাচ্চারা সবাই আনন্দে সেদিকে তাকিয়ে থাকে। গাছ গাছালি, পাখি আর ছোট্টপশু ছাড়া আর কিছুই সেখানে নেই। ওহ, কী মজার রহস্য দ্বীপ, থাকা-খাওয়া আর খেলাধুলার করে বেড়াবার জন্য এর পুরোটাই এখন ওদের নিজেদের। চলবে...

***রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।