ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

প্রেতাত্মা (পর্ব-২) | শোয়েব হাসান

গল্প/ইচ্ছেঘুড়ি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
প্রেতাত্মা (পর্ব-২) | শোয়েব হাসান

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

অনেক চেষ্টা করা হলো। সবাই ভায়ে ভায়ে থাকলো।

একদিন বাগে পাওয়া গেলো কুকুরটাকে। পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো। এরপর মাটিচাপা দেওয়া হলো স্কুলের পিছনে পুকুরের ধারে। মরার সময় সেকি করুণ সুরে ডেকেছিলো কুকুরটা! যেন কাউকে খুঁজছে সে।

এর কয়েকদিন পরে আমি স্কুলের একটি কাজে ঢাকায় যাই। ফিরতে ফিরতে রাত বারোটার মতো বেজে যায় ঢাকা থেকে। স্কুলে কাগজপত্র রেখে তালা মেরে বের হতে দেখি একটার বেশি বাজে। শহরে হয়তো ততো রাত না, গ্রামে একটা মানে গভীর রাত। আমি সবেমাত্র স্কুলের পিছন দিক দিয়ে বের হয়ে পুকুরের ধারে এসেছি। দূরে একটা আবছা ছায়া দেখে থমকে দাঁড়ালাম।

একটা কুকুর। সেই কালো কুকুরটা। যেটা সেদিন মেরে ফেলা হয়েছিল। চোখ দুটো মনে হচ্ছে যেন জ্বলন্ত কয়লা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কুকুরটা ছুটে এসে আমার হাঁটুর নিচে কামড় লাগালো। প্রায় দু’মাস বিছানায় পড়েছিলাম। বাঁচবো এ আশা ছেড়ে দিয়েছিল সবাই। ঘুমের ঘোরে প্রলাপ বকতাম।
- ওইটা যে সেই কালো কুকুর আপনি বুঝলেন কীভাবে? অন্য কোনো কুকুরও তো হতে পারতো।

- না অন্য কুকুর না। ওটা যখন আমার পায়ে কাপড় দেয় আমি ঘাড় টেনে ধরি। তখন আমার মুঠোয় কিছু পশম চলে আসে। আর ঘটনাস্থলে কালো পশম পড়ে থাকতে দেখে গ্রামের সবাই। তাছাড়া আমাদের গ্রাম ছাড়াও আশপাশের কোনো গ্রামেও তন্ন তন্ন করে খুঁজে পাওয়া যায়নি সামান্য কালো পশমওয়ালা অন্য কোনো  কুকুর। বলেই তাকায়  অন্ধকারের দিকে। দৃষ্টি তার উদভ্রান্ত, ভয়ের আভা সেখানে ।

চলবে...

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।