ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৬)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৬)

ভালোই হলো, আমি ছোট্ট একটা আতশি কাচ পেয়েছি, কথাটা বলে জ্যাক, সেটা অন্যদের দেখায়। দেখো, এটা দিয়ে একটুকরো কাগজের ওপর সূর্যের আলো তাক করলে কী ঘটে। ওটা জ্বলে ওঠে, আরে লাগ ভেলকি লাগ, এই যে আগুন তৈরি!

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক। একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।
তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

পূর্ব প্রকাশের পর
হ্যাঁ, আমি কয়েকটা খালি টিন জোগাড় করতে পারবো, মাইক বলে। খালুর ছাউনিতে প্রচুর আছে। ধুয়ে শুকাবার পর নিয়ে আসবো, আর তুমি কি ম্যাচ আনতে পারবে, জ্যাক? খালা কেবল একটাই বাইরে রাখে, আর সেটা হাতছাড়া করে না।
ভালোই হলো, আমি ছোট্ট একটা আতশি কাচ পেয়েছি, কথাটা বলে জ্যাক, সেটা অন্যদের দেখায়। দেখো, এটা দিয়ে একটুকরো কাগজের ওপর সূর্যের আলো তাক করলে কী ঘটে। ওটা জ্বলে ওঠে, আরে লাগ ভেলকি লাগ, এই যে আগুন তৈরি!
আরে, দারুণ তো! মাইক বলে। রোদেলা দিনে আমরা এটা কাজে লাগাতে পারবো, জ্যাক, এবং দেয়াশলাই বাঁচাতে পারবো!
আমি আমার কাজের বাক্সটা নিয়ে আসবো যদি কোনো কিছু সেলাই করতে হয়, পেগি বলে।
আর আমার কাছে নানান ধরনের তারকাঁটা আর হাতুড়িওয়ালা একটা বাক্স আছে, মাইক বলে। ছাউনির ভেতর পেয়েছি।
আমরা তো তৈরিই! দেঁতো হাসি হেসে, জ্যাক বলে। বলতে চাইছি- তাহলে আমরা কবে যাচ্ছি!
আমি আশা করছি রোববারের মধ্যেই! দীর্ঘশ্বাস ফেলে নোরা বলে।
আমি আমাদের কার্ড, লুডো আর ডমিনো সঙ্গে নেব, পেগি বলে।
মাঝেমধ্যে আমরা খেলবো। আর কয়টা বই আনলে কেমন হয়?
তোমার জন্য ভালোই হবে! মাইক চেঁচিয়ে ওঠে। হ্যাঁ- আমাদের কাছে বই আর কাগজও থাকা চাই-চুপচাপ পড়তে আমাদের ভালোই লাগবে।
পুরাতন ফাঁপা গাছের কোটরটা শিগগিরই অদ্ভুত সব জিনিসে ভরে ওঠে। তাতে নতুন কিছু যোগ না হয়ে একটা দিনও পার হয় না। একদিন একটা কাঠের তক্তা আনা হয়। পরদিন আধবস্তা আলু। আরেক দিন আনা হয় পুড়াতন ছেঁড়া-কুড়া কাপড়। সত্যিই এটা খুবই বিস্ময়কর যে গাছটায় সবকিছু এটেছে!

আরও পড়ুন:
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৫)
**
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
***রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।