ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৮)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৮) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
আরে চলো শুরু করা যাক! আগের মতোই অস্থির ভঙ্গিতে লাফাতে লাফাতে, নোরা বলে। আমি এই প্রথম গাছটা বেয়ে উঠবো আর আমার ভর দিয়ে ওর শাখায় দোল দেবো, জ্যাক বলে। বাকিরা সবাই ওদের ধরবে আর আমি নেমে আসার আগপর্যন্ত ধরে থাকবে। তারপর আমি অন্য একটা গাছে উঠবো এবং সেটারও সব ডাল এক এক করে নোয়াবো।

আমরা সেগুলো একসঙ্গে বাঁধবো এবং তারপর আমি অন্য গাছগুলোতে উঠবো। একসময় ওপরকার সবগুলো ডাল নিচে নামিয়ে খুব নিখুঁতভাবে একটির সঙ্গে অপরটি জুড়ে দিয়ে কেটে আনা লম্বা উইলো ডাল আর দড়ি দিয়ে বেঁধে ছাদ বানাবো।

কীভাবে সেটা করতে হয় আমি তোমাদের দেখাচ্ছি।

ওখানকার ছোট্ট একটা উইলো গাছের সঙ্গে জ্যাক দোল খায়। ছোট কাণ্ড ওয়ালা মাঝারি একটা গাছÑ তবে ওর মাথার দিকে সহজেই বাঁকানো যায় এমন একঝাঁক ডাল রয়েছে। জ্যাক দোল দিয়ে ওগুলো নামিয়ে আনে এবং মাইক আর মেয়েরা খুব সহজেই সেগুলো ধরে ফেলে। গাছটা থেকে নেমে অন্য একটাতে ওঠার সময় ওরা সেগুলো ধরে থাকে। ওটাতে উঠে সে একই কাজ করে, নমনীয় ডালগুলো ঝুঁকে থাকা অন্য গাছটির ওপর নেমে আটকে যাওয়ার আগপর্যন্ত সে ওগুলো বাঁকাতে থাকে।

একসঙ্গে বেঁধে ফেলো, মাইক! জ্যাক চিৎকার করে বলে। পেগি, যাও আমি যে দড়িগুলো সঙ্গে এনেছিলাম সেগুলো খুঁজে নিয়ে এসো। পেগি দৌড়ে যায়। দ্রুত দড়ি নিয়ে ফিরে আসে।

মাইক দু’টি গাছের শাখা একসঙ্গে পাকায় এবং শক্ত করে বাঁধে। এখনই ছাদের মতো দেখাচ্ছে! উত্তেজনায় নোরা চেঁচিয়ে ওঠে। ওহ্, এরনিচে বসে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে!

সে উইলো গাছের নিচে গিয়ে বসে, কিন্তু জ্যাক তাকে ডাকে।

ওঠো, নোরা! তোমাকে সাহায্য করতে হবে! এবার আমি তৃতীয় গাছটিতে উঠবো। দেখো, আমার ভারে উঁচু ডালটা ওখানে নেমে গেছে, ধরো আর শক্ত করে আঁকড়ে থাকো!

নোরা আর পেগি ওগুলো শক্ত করে ধরে থাকে। ডালগুলো অন্য ডালের ওপর দিয়ে যায়। মাইক দ্রুত সেগুলোও বাঁধতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

এভাবেই ওদের সারাটা সকাল কাটে। দুপুরের খাবারের আগে ছয়টা গাছের সবগুলো দক্ষতার সঙ্গে বাঁকানো হয়। জ্যাক, মাইক ও অন্যদের দেখায় কীভাবে একটা শাখার সঙ্গে অন্যটা বুনে দিতে হবে, যাতে ওদের একটা আরেকটার সঙ্গে আটকে থেকে চমৎকার একটা ছাদ তৈরি করে।

দেখলে, গাছগুলোকে যদি আমরা এভাবে কাজে লাগাই, তখনও ওতে পাতা জন্মাবে। একই সঙ্গে ছাদের কাজ করবে, জ্যাক বলে। এখন, ঘরটির দেয়াল না থাকলেও বৃষ্টি এলে আমরা ঠিকই এর ছাদের নিচে আশ্রয় নিতে পারবো!

আমি কিছু একটা খেতে চাই, নোরা বলে। এমন ক্ষুধা লেগেছে যে মনে হচ্ছে শামুকও খেতে পারবো!
ঠিক আছে চারটে ডিম বের করো, আর আমাদের কাছে আলুও আছে, জ্যাক বলে। আমরা সসপ্যানে ডিম সিদ্ধ করবো। আলুও অঢেল আছে। ডিম সিদ্ধ হওয়ার পর কিছু আলুও সিদ্ধ করবো আর তারপর একসঙ্গে ভর্তা বানাবো। স্বাদ বদলে কাজে আসবে। তারপর কয়টা গাজর চিবানো যাবে, আর চেরি তো রইলোই।

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২০)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

চলবে....

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।