“এই নাও, কক্ কক্ মুরগির দল!” নোরা বলে। “হয়ে গেলো তোমাদের জন্য ছোট্ট একটা চালা!”
টপ্! টপ্! টপ্! করে বড় বড় বৃষ্টি ফোঁটা ঝরতে শুরু করায় মুরগিরা ভয়ে চেঁচাতে শুরু করে।
“ভালো, এভাবে মুরগিদের একটা গতি করা গেলো,” মাইক বলে। “জানিনা পেগি এখন কীভাবে আগুন জ্বালাবে। ”
পেগি আগুনটাকে ভালো মতো জ্বালিয়ে রাখতে পারছে না। এবার খুব জোরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং সে আগুন ধরিয়ে রাখতে পারে না। জ্যাক ডেইজিকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হয় এবং চিৎকার করে পেগিকে ডাকে- “আগুন ধরাতে না পারলে কিছু যায় আসে না! এবার খুব জোরে বৃষ্টি নামতে শুরু করেছে, তুমি আগুন ধরাতে পারবে না। ভিজে যাওয়ার আগেই, সবাই, উইলো বাড়িতে গিয়ে ঢুকে পড়ো। ”
“মেয়েরা যেতে পারো,” জ্যাককে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে যেতে বলে মাইক। “আমি দুধ রাখবার জিনিস নিয়ে আসছি। ধুর- ডেইজি আজকে সকালে দুধ দিলেও আমরা সবটা খাইনি!”
“ডিশের ওপর ঢেলে ওটা মুরগির উঠোনে রেখে এসো,” জ্যাক বলে। “হতে পারে মুরগিরা ওটা পছন্দ করবে!”
বৃষ্টির মাধ্যেই জ্যাক ডেইজির দুধ দোয়ায়। শিগগির সসপ্যান, কেতলি আর বোলগুলো ভরে যায়! সত্যিই, জ্যাক ভাবে, মেয়েরা তাদের খালার যে পুরাতন দুধের বালতিটার কথা তাকে বলেছে, যে করেই হোক সেটা নিয়ে আসতে হবে। এভাবে দুধ দোয়ানো খুবই ঝামেলার কাজ।
দুধ দোয়ানো শেষ হলে, জ্যাক ডেইজিকে আবারও দ্বীপের ওপাশে ঘাসের মাঠে রেখে আসে। মাইক উইলো বাড়িতে মেয়েদের কাছে যায়। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর চারদিকে বৃষ্টির টিপটিপ শব্দ, খুবই শোচনীয় মনে হয়।
চলবে...
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
এইচএ