বাহ, ভারি মজা তো! শিয়ালেরা হাফ ছেড়ে বাঁচলো। আমাদের রাজা-রানি যখন ঘি মেখে দিলে গোবর আর লেদা খেয়ে ফেলতে পারে তবে আর চিন্তা কি?
শিয়ালেরা শুকনো গোবর আর লেদা কুড়িয়ে আনে।
এভাবে বনের পশু-পাখির গোবর আর লেদায় ঘি মেখে খাওয়াতে লাগলো রাজা আর রানিকে।
রাজা-রানি দিনে দিনে মোটা হয়ে উঠলো। আনন্দে রাজা-রানির দিন কাটতে লাগলো।
খাওয়ার পাগল রাজা-রানির দারুণ সাজা হলো
এ আনন্দ টিকলো না বেশি দিন।
শরীরে প্রচণ্ড চুলকানি শুরু হয়ে গেলো। শরীরে এক ধরনের পোকার আক্রমণে অস্থির রাজা-রানি। সারাদিন গা চুলকায়।
এদিকে শিয়ালেরা রাজারানির এ লক্ষণ দেখে খাবারে ঘি’র পরিমাণ দিলো বাড়িয়ে।
দিনে দিনে অবস্থা এমন হলো যে, রাজা-রানির গা চুলকানি আর থামে না। লোম পড়ে যাচ্ছে। নখের আঁচড়ে শরীর থেকে মাংস খুলে পড়ে যায়। পোড়া বেগুনের মতো দেখা যায় রাজা আর রানিকে। তারা রোদে যেতে পারে না। চুলকানি ব্যারামে অস্থির। রাজা-রানি দিনে দিনে নিস্তেজ হয়ে পড়লো। আগের মতো দাপট নেই। ছায়ায় বসে সারাদিন চুলকায় আর হাঁপায়।
পরেরদিন শিয়ালেরা খাবার দিতে এসে দেখে রাজারানি চুলকাতে চুলকাতে শরীরের প্রায় সব মাংস তুলে ফেলেছে। মাঝে মধ্যে হাড় দেখা যায়। এদের অবস্থা খুব খারাপ।
পরের দিন গিয়ে দেখে রাজা-রানি আর নেই। গাছের তলে পড়ে আছে - কংকাল।
শিয়ালেরা বনের সব পশু-পাখিকে বললো, দেখো আমাদের রাজা-রানি আর নেই। তাদের কংকাল আছে আমাদের সামনে।
বনের পশু আর পাখিরা আনন্দে নাচতে নাচতে গেয়ে উঠলো-
আহা রাজা এলো বনে...
নকল রাজা সুখ দিয়েছে, সুখ পাইনি মনে।
ঘিয়ের সাথে গোবর লেদা খাইল কুকুর রাজা
খাওয়ার পাগল রাজা রানির হলো দারুণ সাজা
আমরা সবাই ব্যস্ত ছিলাম খাওয়ার আয়োজনে
আহা, রাজা গেলো রানি গেলো সুখ পেয়েছি মনে।
**আটুল আর বাটুল (পর্ব-৩) | বিএম বরকতউল্লাহ্
**আটুল আর বাটুল (পর্ব-২) | বিএম বরকতউল্লাহ্
**আটুল আর বাটুল (পর্ব)-১ | বিএম বরকতউল্লাহ্
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
এএ