টাকা ও সোনার বস্তাটা আর কোথাও রাখতে ভরসা পায় না সেরালি। সে ও তার স্ত্রীর মাঝখানে রাখে টাকার বস্তা, তার উপর বেড় দিয়ে রাখে দু’জনের হাত।
দেখতে দেখতে সেরালি মেলা অর্থ-বিত্তের মালিক হয়ে সমাজে গণ্য ব্যক্তি হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে তার চলন-বলন, আচার-ব্যবহারেও বিস্তর পরিবর্তন এসেছে।
কিন্তু হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটলো। সেরালির ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়লো। সে ঝিমধরে বসে থাকে। কথায় কথায় রাগ দেখায়। কেমন জানি খিটিমিটি ভাব। সে সেরালিকে নিষেধ করে দিয়েছে, তার ধারে-কাছে যেন কোনো লোক না পাঠায়।
আয়-রোজগার কমে গেলো। এতে লোভী সেরালির আঁতে টান পড়লো। ছেলের প্রতি সেরালির আগের মতো মন নেই। সে কামাই করা অর্থ-সম্পদ পদ গুনে গুনে সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটায়। অযত্ন-অবহেলায় সেরালির ছেলে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো।
একদিন সকালে সেরালি ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছে না। দেখে, ছেলের জায়গায় একটি কাক মরে পড়ে আছে।
সেরালি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো। যে ছেলে কামাই করতে পারবে না, তার বেঁচে থাকার চেয়ে মরে ‘কাউয়া’ হয়ে যাওয়া ঢের ভালো।
চলবে...
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৮
এএ