চলো জেনে নিই, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে যেসব আয়োজনের মাধ্যমে বড়োদের পাশাপাশি তোমরাও যোগ দিতে পারো।
১. ভালোবাসা দিবসের প্রথম শুভেচ্ছাটা জানাই আমাদের বাবা-মাকে।
২. বাবা-মায়ের জন্য ভালোবাসা দিবসের সেরা উপহার হতে পারে হাতে লেখা একটি কার্ড। তাদের যে বিষয়গুলো আমাদের কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে, তা কার্ডে সুন্দর করে লিখে উপহার দেই। বন্ধুদের জন্যও এমন কার্ড তৈরি করা যেতে পারে।
৩. আমাদের ভালো-মন্দের খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয় বাবা-মাকে। তাই দেখা যায়, তারা নিজেরা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় পান না। ভালোবাসা দিবসে আমাদের উচিত, তাদের দু’জনকে একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া। আমরা ছোটরাই না হয় কিছুক্ষণ ঘর-বাড়ি দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকলাম!
৪. বাসার দেয়াল, দরজা-জানালা বা সিলিং বিভিন্ন রঙের কাগজ দিয়ে সাজানো যেতে পারে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন এ কাজ করতে গিয়ে বাড়ি নোংরা না হয়। যতটুকু নোংরা হবে, সেটুকু নিজেরাই সাফ করি।
৫. ভালোবাসা দিবসে আমদের অন্তত একটা ভালো কাজ করার চেষ্টা করি। যেমন- এ দিন গাছ লাগানো যেতে পারে। অথবা, একবেলা খাওয়ানো যেতে পারে কোনো অসহায় ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে।
৬. প্রতিবছর ভালোবাসা দিবসে একটা নোটখাতা বা ডায়েরিতে ভালোবাসা সম্পর্কে তোমার চিন্তা-ভাবনা ও অনুভূতিগুলো লিখে ফেলতে পারো। এভাবে কয়েক বছর পর ডায়েরি খুলে দেখতে পাবে, ভালোবাসা বিষয়ক তোমার অনুভূতিগুলো প্রতিবছরই ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়েছে।
৭. বাবা-মায়ের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর চেষ্টা করি। জিজ্ঞেস করি, কেমন গেলো তাদের ভালোবাসা দিবস, কে-কি উপহার পেলেন, অথবা কোথায় কোথায় ঘোরাঘুরি হলো? প্রথম কবে তাদের মধ্যে দেখা হয়েছিল, গল্পটা জানা না থাকলে সেটাও জেনে নেওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এনএইচটি/এএ