ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

মজার সিনেমা

টুম্পা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১০

মজার সিনেমা

দীপু নাম্বার টু
পরিচালক : মোরশেদুল ইসলাম

দীপুর বাবা সরকারি চাকুরে। বদলির কারণে দীপুকে প্রতি বছর বদলাতে হয় তার স্কুল, পরিচিত পরিবেশ, বন্ধু-বান্ধব।

বাবা আর দীপুর ছোট্ট সংসার। দীপু জানে ওর মা নেই। রাঙামাটি জিলা স্কুলে কাস সেভেনের ছাত্র দীপু। এ স্কুল ও শহরটা খুব ভালো লাগে দীপুর। কয়েকজন বন্ধুও জোটে। পরিচত হয় তারেকের সাথে। প্রথম প্রথম তারেকের সাথে দীপুর সম্পর্ক ভালো ছিল না। দুজনের মধ্যে ঝগড়া এমনকি মারামারিও হতো। ঘটনাক্রমে একসময় তারেকই হয়ে ওঠে দীপুর ঘনিষ্ঠতম বন্ধু। এরই মধ্যে দীপু একদিন ওর মা’র কথা জানতে পারে। বাবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে বহুদিন আগে আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন তিনি। অনেকদিন পর দেশে এসেছেন মাত্র কয়েকদিনের জন্য। ছেলের সাথে দেখা করতে চেয়েছেন। তখন দীপুর বাবা দীপুকে তার মা সম্পর্কে সব বলেন। দীপু একাই ঢাকায় আসে মা’র সাথে দেখা করতে। প্রথমবার মাকে পেয়ে দীপুর এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। মা-ছেলের চিরন্তন সম্পর্কের অনুভূতিটুকু ক্ষণিকের জন্য ধরা দেয় তার জীবনে। মায়ের সাথে একদিন কাটানোর পর সে ফিরে রাঙামাটিতে। এরপরই আসলে সিনেমার মূল পর্ব শুরু হয়। দীপু ও তার বন্ধুরা বুদ্ধি ও সাহস খাটিয়ে তারেকের নেতৃত্বে দেশের প্রত্মতাত্মিক নিদর্শন মূর্তি পাচারকারী দলকে ধরিয়ে দেয়। দীপু ও তারেক শুরু করে দু:সাহসিক অভিযান।
ছবির শেষ পর্যায়ে দীপুর বাবা আবার বদলি হয়ে যান অন্য শহরে। বন্ধুদের স্মৃতি চমৎকার অভিজ্ঞতাকে পেছনে ফেলে চলে যেতে হয় দীপুকে অন্য কোথাও হয় তো বা অন্য কোন দু:সাহসিক অভিজ্ঞতার সন্ধানে।

কিছু কথা
‘দীপু নাম্বার টু’ ছবিটি বাংলাদেশের শিশুতোষ ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম। যে কোন বয়সের মানুষ ছবিটি দেখে মজা পাবে। বিশেষ করে শিশুরা। এই ছবির গল্পটি লিখেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। আর গল্পটি বড় পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম।

টুম্পা
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪১৬ ঘণ্টা, ২১ জুন ২০১০
টুম্পা/এএ/এসআরজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।