ধান মাড়াতে ব্যস্ত গাঁয়ের
কৃষাণ-কৃষাণীর দল,
হেমন্তের জোছনা মাখা রাত
আনন্দ কোলাহল!
কৃষাণী রান্নার ফাঁকে
কুলায় ঝাড়ে ধান,
ধাপুর ধুপুর ঢেঁকি নাচে
গেয়ে হেমন্ত গান!
এমন সময় কুটুম এলো
পিঠা-পুলি খেতে,
নবান্নে গ্রাম বাংলার মানুষ
উৎসবে যায় মেতে।
হেমন্তের বাতাসে
শিশির ভেজা নরম ঘাসে
হাঁটছি সকাল বেলা
ফর্সা রঙের কুয়াশা ভোর
বাতাস করছে খেলা।
মিষ্টি রোদের ঝিলিক পড়ছে
পাকা ধানের শীষে,
মাঠের ক্ষেতে ওই চাষাদের
হাজার স্বপ্ন মেশে।
কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা
হাসিখুশি কাজে,
শিউলি, ছাতিম, গন্ধরাজে
হেমন্ত দিন সাজে!
পিঠা পুলির আমেজ গাঁয়ে
খোকা-খুকু হাসে,
নবান্নের ঘ্রাণ ছড়িয়ে যায়
হেমন্তের বাতাসে!
ধান পেকেছে
ধান পেকেছে মাঠে মাঠে
চাষার মুখে হাসি,
হলুদরঙা ওই ফসলে
স্বপ্ন রাশি রাশি!
নতুন ধানে ভরবে গোলা
নেই কৃষাণের ঘুম,
নতুন ধানে নতুন চালে
নবান্নেরই ধুম!
নবান্ন
কাস্তে হাতে ছুটছে কৃষাণ
আমন ধানের মাঠে,
পাকা ধান আনন্দে মেতে
কৃষাণেরা কাটে।
কাটার পরে মাড়াই করে
বাড়িতে ধান আনে,
বিচালির গাদা দেওয়ার পর
কাজের ইতি টানে!
কৃষাণীরা ঢেঁকিতে ধান
রাত দুপুর ভানে,
কুলায় গুঁড়ো ঝেড়ে তখন
আতপ চাল আনে।
আতপ চালের নতুন ভাতে
নবান্ন উৎসব হয়,
গ্রামজুড়ে সেই খুশির আমেজ
চতুর্দিকে বয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এএ