ছাতারে বাংলাদেশের সব গ্রামেই রয়েছে। খাবারের অভাব নেই, নেই বাসা বাঁধার জায়গার অভাব।
মাটিতে নেমে এরা ঝোপ-জঙ্গলে ঢুকে শুকনো পাতা উল্টে খাবার সংগ্রহ করে। এতে বন-বাগানের মাটির যেমন উপকার হয়, তেমনি গাছপালার স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। ক্ষতিকর পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ খেয়ে পরিবেশ ভালো রাখে। তাই এরা পরিবেশের বন্ধু উপকারী পাখি।
সারা দুনিয়ায় ছাতারে রয়েছে ৩০ রকমের। বাংলাদেশে রয়েছে ৭ প্রজাতির। ছাতারে লম্বায় হয় ২৯ সেন্টিমিটার। চওড়া ধরনের লম্বাটে লেজ। চওড়া পাখা। তবু এরা এক নাগাড়ে বেশিক্ষণ উড়তে পারে না। বেশি উঁচুতেও ওঠে না। মেয়ে ও ছেলে পাখি দেখতে একইরকম।
শরীরের রং মেটে বাদামি। চোখের মণি লাল। পা, ঠোঁট ও হালকা হলুদাভ। গলার স্বর কর্কশ। কলা, আম বা পেঁপে পাকলে সে আগেভাগেই খবর পায়। সুযোগ পেলে মাছও খায়। ধান ও ভাত খেতে সে উঠোনেও চলে আসে অনেক সময়।
এরা বাসা করে ঝোপঝাড়, পানের বরজ ও গাছের ডালে। ডিম পাড়ে ২-৪টি। ডিমের রং নীল। কোকিল, পাপিয়া, বউ কথা কও পাখির ডিমের সঙ্গে মিল রয়েছে। এসব পাখি সুযোগ পেলে ছাতারের বাসায় তাই ডিম পাড়ে। ১৩-১৫ দিনে বাচ্চা ফোটে। উড়তে শেখে ১৭-১৮ দিনে। দলের সব বড়রাই ছোটদের খাওয়ায়।
তথ্যসূত্র: শরীফ খান, বাংলাদেশের পাখি
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২০
এএ