ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

আগামীর স্বপ্ন নিয়ে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

আবীর ফেরদৌস মুখর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১২
আগামীর স্বপ্ন নিয়ে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

ঢাকা: ফ্রেমে ফ্রেমে আগামীর স্বপ্ন নিয়ে শুরু হলো পঞ্চম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব-২০১২। বাংলাদেশে শিশুতোষ চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় এই উৎসব চলবে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।



প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবটি আয়োজন করছে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ। উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরের উদ্দেশে।

বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে উৎসবের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার (বীর উত্তম)। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম প্রমুখ।

এবারই প্রথম দেশব্যাপী একযোগে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকায় ৯টি, চট্টগ্রামে ৬টি এবং সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশালে ১টি করে মোট ২০টি ভেন্যুতে উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে।

মূল উৎসব কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ঢাকার শাহবাগস্থ কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বর। উৎসবে মোট ৪০টি দেশের দুই শতাধিক শিশুতোষ কাহিনীচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, এনিমেশন চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।

প্রতিবারের মত উৎসবে এবারেও থাকছে ছোটদের নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতা বিভাগ। এই বিভাগের জন্য এবার ছবি জমা পড়েছিল মোট ৮০টি, তার মধ্যে উৎসবে প্রদর্শনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে ৩২টি ছবি। এই ৩২টি ছবির মধ্যে ৫টি ছবি পাবে পুরস্কার, যার মধ্যে থাকবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও পরবর্তী ছবি নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা। ৫ সদস্যের একটি জুরি বোর্ড ছবিগুলো দেখে ৫টি ছবিকে পুরস্কারের জন্য চূড়ান্ত করবে। এই জুরি বোর্ডটি গঠিত হবে শিশুদের নিয়েই।

এছাড়াও উৎসবে বড়দের নির্মিত ছবিগুলোর মধ্যে থেকে একটি ছবিকে দেওয়া হবে দর্শক প্রিয়তার ভিত্তিতে ‌অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড।

উৎসবে সারাদেশ থেকে ১২৫ জন শিশুকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে শিশু প্রতিনিধি হিসেবে। শিশু প্রতিনিধিদের জন্য ছবি দেখা ছাড়াও উৎসবের ৭টি দিন থাকবে নানান আয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে দিনব্যাপি চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা, দিনব্যাপি চলচ্চিত্র বিষয়ক সেমিনার এবং ৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সাথে অন্তরঙ্গ আড্ডার সুযোগ।

শিশু প্রতিনিধিদের জন্য ২৩ জানুয়ারি থাকবে দিনব্যাপি চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা। এতে মোট ৪টি অধিবেশনে চলচ্চিত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের প্রাথমিক ধারণা দেবেন দেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতারা।

২৫ জানুয়ারি কেন্দ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হবে চলচ্চিত্র বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনারের। সেমিনারেও মোট ৪ টি অধিবেশনে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করবেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্ববৃন্দ ও সারাদেশ  থেকে আগত শিশু প্রতিনিধিরা।

আগামী ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উৎসবটি।

১৮ বছর বয়স পর্যন্ত যে কেউ বিনামূল্যে এই উৎসবের ছবিগুলো উপভোগ করতে পারবে।

উৎসবে সহযোগিতা করছে ইউনিসেফ এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।