ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে কিছু আইনজীবীর বেআইনিভাবে বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস চতুর্থ ব্যাচ।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে চতুর্থ ব্যাচের বিচারকরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের আদালতে নিয়মিত বিচারসেবা দেওয়ার সময়ে গত ২ জানুয়ারি এজলাসে সংশ্লিষ্ট জেলার আইনজীবী সমিতির কতিপয় আইনজীবী অমার্জিত কটুবাক্য, আক্রমণাত্মক আচরণ ও উগ্র অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেছেন। এরপর জেলা ও দায়রা জজের বিরূদ্ধেও অশালীন স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছেন। চূড়ান্ত বিবেচনায়, এসব ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম গর্হিত ও সর্বকালীন ন্যাক্কারজনক আদালত অবমাননার অপরাধের উদাহরণ।
বিবৃতিতে বলা হয়, মতানৈক্য ও সংক্ষোভ প্রকাশের একটি সংহত, শান্তিপূর্ণ, আইনসিদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পন্থা রয়েছে এবং এই সুনীতির চর্চা সবসময়েই আমরা লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশের বিচার অঙ্গনে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ঘটনা সেই পূর্বাপর শিষ্টাচার, শুদ্ধাচারের পরম্পরা ও আবহমান আইনচেতনার পরিপন্থী ও বিরল ব্যত্যয়।
সারাদেশের সবস্তরের বিচারকদের সঙ্গে সহমর্মে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস চতুর্থ ব্যাচের বিচারকরা ন্যায়সন্ধানী ও সচেতন প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। পাশাপাশি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মহিমান্বিত অঙ্গীকার ও শপথে দায়িত্ব পালনরত দেশের সব বিচারকের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার যথাবিহিত বিচার ও স্থায়ী বিহিত আশা করে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) চতুর্থ ব্যাচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
এসএ