ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দাবি আদায় না হওয়ায় টানা ৫ম দিনের মতো আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা।
বুধবার (১১জানুয়ারি) সকালে থেকে বর্ধিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে অবস্থান নেন তারা।
গত পাঁচদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে শুনানি, হাজিরাসহ কোন মামলারই কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। এতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা।
ভূক্তভোগীরা জানান, দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন তারা। কিন্তু আদালতে বিচারিক কার্যক্রম না থাকায় তারা হতাশ হয়েছেন। এতে তাদের সময় নষ্ট হচ্ছে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আদালত বর্জনের বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দুই বিচারক ও নাজিরের অপসারণের দাবি করেছি আমরা।
বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে আইনমন্ত্রী ও এটর্নিজেনারেলসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের কাছে ঘটনার প্রকৃত বিষয় ও আমাদের অবস্থান সম্পর্কে অবিহত করা হয়। তারা শিগগিরই বিষয়টি সুরুহা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধানসহ ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
উল্লেখ্য, জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তাদের অপসারণের দাবি জানায় জেলা আইনজীবী সমিতি। এ দাবিতে গত ৫ জানুয়ারি থেকে আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা।
এদিকে এজলাশে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অশোভন আচরণে ঘটনায় ও জেলা জজসহ বিচারকের বিরুদ্ধে অশালীন স্লোগান দেওয়ায় সভাপতিসহ ২৪ জন আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করেছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
এসএএইচ