ঢাকা: ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলার এক আসামির হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (২৭ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে ওই আসামি নাসির মিয়া ফারুক জামিন পান।
হাইকোর্টে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মান্নান আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ কামরুল হাসান খান (আসলাম) ও এস. এম. ফজলুল হক।
গত বছরের ২০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার আসামিদের রিমান্ড আবেদন করেন।
সেই আবেদনে বলা হয়, গ্রেফতার আনসার আল ইসলামের সদস্য ঈদী আমিনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটক থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ও তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২২ নভেম্বর লিপি আক্তারের পূর্ব গোড়ানের বাসায় আশ্রয়ে ছিল ঈদী আমিন। সেখান থেকে মামা শ্বশুর নাসির মিয়ার বিজয়নগরের বাসায় যায়। সেখানে ২২ নভেম্বর রাত থেকে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর তার বাসায় অবস্থান করে। এরপর ২৫ নভেম্বর মধ্য বাসাবো এলাকায় তানভীরের বাসায় যায়। সেখানে ২৫ ও ২৬ নভেম্বর অবস্থান করে।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এই তিন আসামি জানতেন, ঈদী আমিন একজন পলাতক আসামি এবং তিনি সন্ত্রাস বিরোধ আইনের অপরাধ সংগঠন করেছে। এটা জেনে এবং বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকা সত্ত্বেও ঈদী আমিনকে শাস্তি থেকে রক্ষা করার অভিপ্রায়ে তাকে আশ্রয় দেয়।
নাসির মিয়া ফারুকসহ তিনজন আত্মসমর্পণের ২৯ নভেম্বর তাদের তিন দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ