ঢাকা: জনসমাগমস্থলে যত্রতত্র থুতু ফেলা, মূত্রত্যাগ ও প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে জনসমক্ষে যত্রতত্র থুতু ফেলা, মূত্রত্যাগ ও প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২ এপ্রিল) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এছাড়া যত্রতত্র থুতু ফেলা, মূত্রত্যাগ ও প্রকাশ্যে ধূমপানের কারণে শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৬০(১), (২) (৩) ধারা ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ আইন, ১৯৯২ এর ৮৩, ৮৬ ধারা, সিলেট, বরিশাল মহানগর পুলিশ আইন, ২০০৯ এর ৮৩ ধারা, ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর ৮৩ ধারা, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ আইন, খুলনা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ অনুসারে শাস্তি ও জরিমানা আরোপ করে আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, রাজশাহী, কুমিল্লা, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার, কুমিল্লার পুলিশ সুপারসহ ২৩ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
জনসমক্ষে থুতু ফেলা, মূত্রত্যাগ ও প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিবাদীদের আইনি নেটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রিটে যত্রতত্র থুতু ফেলা, মূত্রত্যাগ ও প্রকাশ্যে ধূমপানের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৩
ইএস/আরবি