ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা (এমডি) পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত আছে। বুধবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার আইও দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন।
তবে এদিনও তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় অসমাপ্ত সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে মামলাটিতে মোট ৯৯ জন সাক্ষ্য দেন। চার্জশিটভুক্ত ১০৬ সাক্ষীর মধ্যে ১০০তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন তিনি। তার সাক্ষ্য নেওয়ার মধ্য দিয়ে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে।
বুধবার সাক্ষ্য নেওয়ার সময় কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এছাড়া পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।
এরপর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৩
কেআই/এমএমজেড