ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাবুল চিশতিসহ তিনজনকে ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
বাবুল চিশতিসহ তিনজনকে ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড

ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতিসহ তিনজনকে ২০ লাখ ৫৯ হাজার ১৪৩ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।

রায়ে বাবুল চিশতিকে নয় লাখ ২৪ হাজার ৬৭৩ টাকা, ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ কে এম শামীমকে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ২০২ টাকা এবং সাবেক ইভিপি ও হেড অব আইটি শাহ আজমকে পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ২৬৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।  

দণ্ডকৃত অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যর্থতায় দণ্ডিত প্রত্যেকের কাছ থেকে অর্থ আদায়যোগ্য হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে বাবুল চিশতি ও কে এম শামীমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে পরে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর আসামি শাহ আজম জামিনে আছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান সোহান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে বিজনেস মিটিংয়ের নামে ২০১৭ সালের ১৯ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত লন্ডন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ ভাতা বাবদ ফারমার্স ব্যাংকের ৯ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৩ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন বাবুল চিশতি।

এ অভিযোগে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট গুলশান থানায় বাবুল চিশতির বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সহিদুর রহমান।  

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা।

২০২০ সালের ২১ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১১ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। অপরদিকে বাবুল চিশতির পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষী দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।