রংপুর: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) - এর নামে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় আসামি টিটু রায়কে ১০ দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. আবদুল মজিদ এই রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত টিটু রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারি আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি জানান, কোনোভাবেই ধর্ম অবমাননা সমীচিন নয়, সে যে ধর্মই হোক। এটা আইন পরিপন্থী।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার রায় এই রায় প্রসঙ্গে আপত্তি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাইবার ট্রাইবুনালে ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই মোতাবেক ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে টিটু রায়ের মোবাইল ডিভাইস থেকে ওই ধরনের বিতর্কিত পোস্ট দেওয়ার প্রমাণ মেলেনি।
উল্লেখ্য, আসামি টিটু রায়ের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার স্ট্যাটাস দিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। তার স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে রংপুরের শলেয়াশাহ ঠাঁকুরপাড়া এলাকায় হিন্দু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থান করে রংপুর জেলার গঙ্গচড়া থানাধীন হরকলি ঠাঁকুরপাড়ার মৃত খগেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে টিটু রায় ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর এমডি টিটু নামে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর ওই বছরের ১০ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর টিটু রায়ের শাস্তির দাবিতে শলেয়াশাহ বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে স্থানীয় জনতা। পরে কয়েক হাজার মানুষ টিটু রায়ের বাড়িসহ ঠাঁকুরপাড়ার হিন্দুপল্লীর বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া থানায় দুটি মামলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
এসএএইচ