খুলনা: খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে বাড়িতে আটকে রেখে মারধর ও নিয়োগসংক্রান্ত কাগজে জোর করে সই নেওয়া সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন করেন ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ।
এর আগে গত রোববার (২১ মে) জামিন স্থগিত করে নিম্ন আদালতে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন চেম্বার জজ আদালত।
গত ১৬ মে উচ্চ আদালতের বিচারপতি মোস্তফা জামান ও আমিনুল ইসলামের আদালত কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মো. মজিবর রহমান ও মো. রাসেল হোসেনকে ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। রাষ্ট্র পক্ষ চেম্বার জজ আদালতে ১৭ মে রিভিউ আবেদন করে। সে মোতাবেক চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি ইনায়েতুর রহমান ২১ মে বিস্তারিত শুনে ওই অন্তর্বর্তী জামিন স্থগিত করেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ওই মাদরাসার সভাপতির পছন্দের প্রার্থীকে পাশ করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে মারপিট করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তার বাড়িতে আটকে রেখে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।
পরে এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এমআরএম/ এসএম