ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকার ডেমরার মো. সুমনকে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা অনুসারে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সুমনের রিটে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে সুমনের পক্ষে বিনামূল্যে লড়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, মো. সুমন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
২০১৮ সালে এ নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়, যেখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চের পরিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা অনুযায়ী মো. সুমনকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ এর ৮ এর ২ বিধিতে বলা হয়েছে “উপ-বিধি (২) এর দফা (গ) তে উল্লেখিত মহিলা, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনো বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে উক্ত কোটা সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে”। একইসঙ্গে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩৫ এর ১ এ বলা হয়েছে “আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যোগ্যতা থাক সত্ত্বেও, প্রতিবন্ধিতার ধরণ অনুযায়ী, উপযোগী কোন কর্মে নিযুক্ত হইতে কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বঞ্চিত বা তাহার প্রতি বৈষম্য করা বা তাহাকে বাধাগ্রস্ত করা যাইবে না”।
এসব বিধান মতে নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৪ এর ২০১৮ সালে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে ১০শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার বৈধ অধিকারী ছিল সুমনের। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সময় উক্ত বিধিগুলো অনুযায়ী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ কোটা অনুসরণ না করায় সুমন রিট করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
ইএস/এমএইচএস