ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিশু অঙ্কিতাকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রীতমের যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
শিশু অঙ্কিতাকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রীতমের যাবজ্জীবন

খুলনা: খুলনার দৌলতপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি প্রীতম রুদ্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২১ জুন) খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মতিউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি প্রীতম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্ত প্রীতম রুদ্র দৌলতপুরের পাবলা বণিকপাড়া এলাকার প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি বিকেলে খুলনার দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া এলাকায় খেলতে খেলতে নিখোঁজ হয় স্থানীয় সরকারি বিনা পানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অঙ্কিতা দে ছোঁয়া। এ ঘটনায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং পরবর্তীতে অপহরণ মামলা করেন অঙ্কিতার বাবা সুশান্ত দে।  

নিখোঁজের ছয়দিন পর একটি বাড়ির নিচতলায় থাকা বিউটি পার্লারের বাথরুম থেকে অঙ্কিতার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বাড়ির মালিক প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে প্রীতম রুদ্রকে (২৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধর্ষণের পর হত্যা এবং পরে মরদেহ গুম করার দায় স্বীকার করে ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আহমেদের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন অভিযুক্ত প্রীতম।  

অঙ্কিতার নিখোঁজ থেকে মরদেহ উদ্ধার, মামলা দায়ের ও অভিযুক্ত প্রীতম রুদ্র গ্রেপ্তারের সময়কালে খুলনায় ব্যাপক আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। একই বছরের ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মালেক এবং পিপি আহদুজ্জামান ও সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এমআরএম/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।