ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে বেনজির জাহান মুক্তা নামে এক কলেজছাত্রীকে হত্যার দায়ে একমাত্র আসামি প্রেমিক সোহাগ মীরকে (২৫) মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুস্তম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এসময় আসামি সোহাগ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ কলাপাড়া উপজেলার আনিপাড়া গ্রামের সোবাহান মীরের ছেলে।
হত্যার শিকার বেনজির জাহান মুক্তা জেলার নলছিটি উপজেলার বাড়ইকরণ এলাকার জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মেয়ে ও ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল মান্নান রসুল ও আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর হোসেন।
জানা গেছে, সোহাগের সঙ্গে মুক্তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে মুক্তা কলেজে রওনা দিলে বাড়ির সামনে সোহাগের সঙ্গে দেখা হয়। এসময় তার ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি নিয়ে যায় সোহাগ। দুপুরে কলেজ থেকে ফেরার পথে মোবাইলটি ফেরত নেওয়ার কথা বলে। মুক্তা বাড়ি ফিরলে ঘরে থাক অন্য ফোনে কল দিয়ে তার মোবাইল দেওয়ার কথা বলে কাপুড়িয়া বাড়ি সংলগ্ন কাঁচা রাস্তার ওপরে বটগাছের নিচে তাকে ডাকে। সেখানে মুক্তা গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে। পরে মুক্তা গলা চেপে ধরে চিৎকার করতে করতে বাড়িতে ফিরে মারা যায়। এ ঘটনায় মুক্তার বাবা জাহাঙ্গীর হাওলাদার বাদী হয়ে পরের দিন ৫ ফেব্রুয়ারি নলছিটি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নলছিটির থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল হালিম ওই বছরের ৩১ অক্টোবর সোহাগকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বরে চার্জ গঠন করে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৩
আরএ